লাতু ডেস্ক: সিলেট সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে সবগুলো কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। অনেক কেন্দ্রে ভোর থেকেই ভোটাররা লাইনে দাঁড়ান। বুধবার সকালে নগরের বেশিরভাগ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের আধিক্য।
সিলেট সিটি করপোরেশনে নতুন অন্তর্গত ৩৮ নং ওয়ার্ডের রাশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ভোট শুরুর আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটাররা। ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে এক ধরণের কৌতুহল কাজ করছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নারী-পুরুষ ভোটাররা ভোট দিতে শুরু করেছেন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়- পুরুষদের চাইতে নারী ভোটারের লাইন দীর্ঘ। তাদের মাঝেও রয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা।এদিকে নগরের সারদা হল কেন্দ্রে ভোটারের হিসেব অনুযায়ী পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা কম। তবে ভোটের লাইনে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি লক্ষণীয়। এ কেন্দ্রে দু’টি বুথে নারীদের ও তিনটিতে পুরুষের ভোটগ্রহণ চলছে।
এছাড়া দক্ষিণ সুরমার ইছরাব আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রেও দেখা গেছে একই চিত্র। এখানেও পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে।এবারের সিসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে মোট ১৯০টি। এর মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবার বর্ধিত এলাকাসহ এবার মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা হলেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন হলেন নারী ভোটার।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল), জাকের পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, মো. শাহ জাহান মিয়া, মো. ছালাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুল হানিফ।
এছাড়া ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি।