লাতু ডেস্ক:: উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সিলেট সিটিতে চলছে ভোটগ্রহণ। সিলেটের ৪২টি ওয়ার্ডে এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি অধিকাংশ ভোটারদের অজানা থাকায় ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে কিছুটা দেরি হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে ভোটারদের সহযোগিতা করতে দেখা গেছে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের।
এবারের সিটি নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৫৮টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার ও ৪২ ওয়ার্ডে এই সিটিতে এবার পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন চলছে। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র উমরশাহ সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ভোট দিতে আসা কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ইভিএমে এবারই প্রথম ভোট দিয়েছি আমরা। এই মেশিন সম্পর্কে আমাদের কোনও জ্ঞান নেই। আমাদের ভোট কক্ষে দেখিয়ে দেওয়ার পর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি। ভোট দেওয়ার পদ্ধতিটা খুবই সহজ। কিন্তু জানা না থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
ভোটার শেফালি খাতুন বলেন, ‘ভোটের মেশিনটা দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছি। আগে ভোট দিয়েছে কাগজে সিল দিয়ে। পরে একজন দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে ভোট দিতে হয়। এরপর খুব কম সময়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি।’
এই ভোট কেন্দ্রের (পুরুষ) প্রিসাইডিং অফিসার সঞ্জয় কুমার সিংহ জানান, কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে ভোটগ্রহণ। এই কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৭৯৯ ও নারী ভোটার ৩ হাজার ৪৭৫ জন। কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী থাকলেও ইতোমধ্যে নির্বাচন বয়কট করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান। নির্বাচন বয়কট করলেও ইভিএমে তার প্রতীক ও নাম রয়েছে। তিনি ছাড়া মেয়র পদে যারা লড়ছেন তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ), শাহ জাহান মিয়া (বাস), ছালাহ উদ্দিন (ক্রিকেট ব্যাট) এবং আবদুল হানিফ (ঘোড়া)।
জানা যায়, সিলেট সিটির নির্বাচনে মেয়র পদে আট, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন।