রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা, মূল আসামীরা এখনও অধরা



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুজানগর গ্রামের আগর-আতর ব্যবসায়ী খলিল উদ্দিন হত্যা চেষ্টা মামলার ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও মূল আসামীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। এতে বাদীপক্ষে হতাশা বিরাজ করছে।

এদিকে গুরুতর আহত খলিল উদ্দিন ১৮ দিন ধরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

আহত ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৬ মে উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের মুজিবুল ইসলাম তারেকের নেতৃত্বে তার ছেলে তাহের আহমদ, তাওকির আহমদ, তাজুয়ার আহমদ, তালহা আহমদ, মুমিন আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন, রেদওয়ান আল মুমিন সঙ্গবদ্ধভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আগর-আতর ব্যবসায়ী খলিল উদ্দিনের উপর হামলা চালায়। এতে খলিল উদ্দিনের মাথা, পেট, মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। হামলার খবরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় আহতের ছেলে হাসান আহমদ গত ২৯ মে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা করেন।

আহত খলিল উদ্দিনের ভাই মনির উদ্দিন জানান, পরিকল্পিতভাবে ওঁত পেতে আসামীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। এর আগেও আসামীরা আমার ভাতিজা মারজানকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। ঘটনার দিন পুলিশ একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তার ভাই ১৭ দিন ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। কিন্তু পুলিশ আর কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীরা নানাভাবে তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান জানান, ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক আসামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকে অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।