খন্দকার সাহেদ হাসান:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় দুটি সংখ্যালঘু পরিবারের ৩০ শতক জমি জোর করে দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের জমি দখলে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ওই পরিবারগুলোকে দেশত্যাগের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের কুড়িগ্রামের সুমন দাস ও মিলন দাস তাঁদের পরিবারের ৫০ শতক জমি দখল করতে দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী চেষ্টা চালাচ্ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ উদ্দিনসহ কয়েক ব্যক্তি। চলতি বছরের ৫ ও ৬ মে (২০২৩) তাঁরা ওই ৫০ শতক জমি গাছ লাগানোর উপযোগী করে জোর করে দখলে নেন। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষের লোকজন সুমন দাসের মা তুলি রানিকে (৭৫) ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তুলি রানি আঘাত পেলে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
সুমন দাসের অভিযোগ করেন, ‘৫ মে মাটি কেটে জমি দখলে নেওয়ার সময় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিই। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে ৬ মে ৫০ শতক জমি তারা দখল করে নেয়। দখলদারেরা জাল দলিল তৈরি করে এসব জমির মালিকানা দাবি করে আসছিল। কিন্তু এসব জমি আমাদের পৈতৃক।’
সুমনের অভিযোগ, এ ঘটনায় সিরাজ উদ্দিন তাঁকে (সুমনের) দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকি দেন। আর দেশে থাকলে অস্ত্র, মাদক ও হরিণের চামড়া রেখে জেল খাটানোরও হুমকি দেন। এ ঘটনায় ৬ মে বড়লেখা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘এসব জমি ক্রয়সূত্রে আমরাই মালিক। আমাদের দলিল আছে। কারও কোনো জমি জোরজবরদস্তি করে দখল করিনি।’
বড়লেখা থানার ওসি সাইদুল ইসলাম বলেন, সুমন দাস জমি দখলের অভিযোগ করেছেন। তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।