লাতু ডেস্ক:: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় মসজিদে দেওয়া সরকারি অনুদানের টাকার হিসাব নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ছয়জন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ চাটেরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধের নাম আবদুল জলিল (৬০)। তিনি চাটেরা এলাকার বাসিন্দা। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত জলিলের দুই ছেলে আবদুল কাদির (২৬) ও সাহিদ মিয়া (২৪), জলিলের স্বজন সাহেদ আহমদ (১৮), প্রতিপক্ষের ইয়াছিন (৪৫), তাঁর ছেলে সৌরভ আহমেদ (১০) ও ভাতিজা তারেকুল ইসলাম (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ চাটেরা মসজিদের উন্নয়নকাজের জন্য সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়। মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ইয়াছিন মিয়া নামের স্থানীয় বাসিন্দা ওই অনুদানের টাকা নেন। গতকাল জুমার নামাজের পর ইয়াছিনের কাছে ওই টাকার কাজের হিসাব চান মসজিদের ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য আবদুল জলিল। এ নিয়ে প্রথমে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে মুসল্লিরা তাঁদের থামান। ইফতারির পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইয়াছিনদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন আবদুল জলিল। এ সময় ইয়াছিনসহ তাঁর স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জলিলের ওপর হামলা চালান। চিৎকার শুনে জলিলের স্বজনেরা সেখানে ছুটে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। এতে জলিলসহ অহত ব্যক্তিদের জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে জলিল মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতাল এবং সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত জলিলের ছেলে জুয়েল আহমদ বাদী হয়ে ইয়াছিনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে অসামি করে মামলা করেন।
মসজিদের অনুদানের টাকার হিসাব চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাকির মনির।
আজ শনিবার সকালে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, মামলার আসামি ইয়াছিন ও তাঁর ছেলে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ইয়াছিন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কামরুলকে মৌলভীবাজারের আদালতে পাঠানো হবে। নিহত জলিলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদরের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।