রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় কাবিখা প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ না করে বরাদ্দ আত্মসাত



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিকাশ দাসের বিরুদ্ধে একটি পুরাতন ইটসলিং রাস্তাকে মাটির রাস্তা দেখিয়ে ইটসলিং কাজের প্রকল্প জমা দিয়ে বরাদ্দ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে।

এব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও বর্ণি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুমন চন্দ্র দাস গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের মিহারী গ্রামের শিলকুরা নদীর পাড়ের পুরাতন ইটসলিং রাস্তাকে কাঁচা রাস্তা দেখিয়ে ওই রাস্তার ইটসলিং কাজের জন্য প্রকল্প জমা দেন ইউপি সদস্য বিকাশ দাস। ওই রাস্তার ইটসলিং কাজের জন্য সরকারের বিশেষ নির্বাচনী বরাদ্দে ২০২২-২৩ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় ১ম পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৭ টন চাল বরাদ্দ মিলে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ইউপি সদস্য বিকাশ দাস প্রকল্প কমিটির সভাপতি, স্ত্রীকে মহিলা সদস্য ও বেসরকারি শিক্ষক প্রতিনিধি শৈলেন্দ্র কুমার দাসের স্বাক্ষর জাল করে ৫ সদস্যের প্রকল্প কমিটি জমা দিয়ে চার কিস্তিতে গত ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ কিস্তির চাল উত্তোলন করেন। চাল বিক্রির টাকা পকেটস্থ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে তিনি কোন কাজই করেননি।

সরেজমিনে গিয়ে প্রকল্পভুক্ত রাস্তাটি পুরাতন ইটসলিংকৃত দেখা গেছে। সম্মুখের রাস্তা কাঁচা (মাটির রাস্তা) থাকলেও সেখানে সংস্কার কাজ হতে দেখা যায়নি। তবে প্রকল্প বর্হিভূত দূরবর্তী একটি পুরাতন ইটসলিং রাস্তার পুরাতন ইট তুলে সামান্য নতুন ইট মিশিয়ে সংস্কার কাজ হতে দেখা গেছে। এলাকার বাসিন্দা প্রনথ বিশ্বাস, শ্রীমন্ত দাস, ফয়সল আহমদ, রন বিশ্বাস, অনি রুদ্র পাল, সরজ বিশ্বাস প্রমুখ জানান, ইউপি সদস্য পুরাতন ওই রাস্তার ইট তুলে মাঝে মাঝে কিছু নতুন ইট লাগিয়েছেন। পুরাতন রাস্তার সংস্কার নাকি নতুনভাবে ইটসলিংয়ের কাজ এসেছে মেম্বার তা জানাননি। এখানে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার কাজ হতে পারে বলে তারা ধারণা করেছেন।

ইউপি সদস্য ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি বিকাশ দাস বলেন, ‘আমাদের এলাকার প্রফেসার প্রকল্প কমিটি গঠনসহ সবকিছু দেখভাল করেছেন, বরাদ্দও উত্তোলন করেছেন। রাস্তায় সঠিকভাবে কাজ করেছি। কাজ না করলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অমাকে বিল দিলেন কেন। কোনো অনিয়ম করলে পিআইও আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন না কেনো।’

বড়লেখা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান বলেন, ‘অন্য একটি রাস্তার কাজের ছবি ও ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়ন জমা দিয়ে প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য বিকাশ দাস বরাদ্দ উত্তোলন করেন। সংশ্লিষ্ট রাস্তায় কোন কাজ না করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে তাকে (ইউপি সদস্য) শোকজ করা হয়েছে।’