নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপেজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জিল্লুর রহমান। গতকাল শুক্রবার জিল্লুর রহমান ও তার ছেলে মনজুর ই এলাহী বেলা ২টায় স্থানীয় একটি রেস্তুরায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ নিয়ে পুরো এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মলনে জিল্লুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের সাথে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ একসাথে লিবাস ফ্যাশনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ব্যবসা নিয়ে সমস্যার শুরু। সোয়েব আহমদ আমাকে চাপ দিচ্ছিলেন ব্যবসা থেকে সরে যেতে। কিন্তু তা আমি করিনি। অক্টোবরের প্রথম দিকে উনার ছেলেকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করে দোকান ডাকাতি করান যাতে আমাদের উপর দোষ চাপিয়ে দোকান দখল করে নিতে পারেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দোকানে গোপন সিসি ক্যমারা থাকায় তা রেকর্ড হয়ে যায়। সিসি ফুটুজে দেখা যায় সোয়েব আহমদের ছেলে মাহাদি তার দলবল নিয়ে দোকান ভেঙ্গে প্রথমে সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে তারপর দোকান ডাকাতি করে ক্যাশ টাকা নিয়ে চলে যায়।
এ নিয়ে তাদের সাথে কথা বললে হুমকি দেন আমাকে পারলে কিছু করে নেওয়ার। থানায় মামলা করতে গেলে কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন । তারা সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার পরামর্শ দেন। আমার বড় ছেলে মাহবুব ই এলাহীকে মামলা কেন করতে গেলাম তা নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহাদী ও তার দলবল নিয়ে গত ০৬/১১/২০২১ বিকালে আবার আমার বড় ছেলের উপর হামলা করে। আমার ছেলেকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাই। এদিকে তারা জোরপূর্বক দোকান দখল করে নেয়। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি।
এদিকে বড়লখা ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় জুবের নামে একজন নিহত হয়।এই ঘট নায় আমাদের ন্যূনতম কোন ধরনের সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও উপেজেলা চেয়ারম্যানের ইশারায় আমার বড় ছেলে মাহবুব ই এলাহীকে ১ নং আসামি ও আমার ভাতিজা কাওসার কে ২ নং আসামি করে আরও কয়েকজনের উপর মিথ্যা মামলা করা হয়। হত্যা মামলার ১ম আসামি হওয়ায় পুলিশ আমার ছেলেকে হন্য হয়ে খোঁজে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে সোয়েব আহমদের লোকজন তাদের উপর থেকে মামলা প্রত্যহার করার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অন্যতায় আমি ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মলেনের মাধ্যমেতিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। একজন নিরহ মানুষের উপর অত্যাচার, জুলুম আর জোরপূর্বক দখলের সঠিক বিচার চান তিনি।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যানসোয়েব আহমদেরসাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসব কিছু শিক্ষক জিল্লুর রহমানের চক্রান্ত। উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তিনি একক মালিক। তিনি তাদের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করবেন বলে জানান।