রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় রুবেল হত্যা মামলা : ৩ আসামী রিমান্ডে



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রাজমিস্ত্রী রুবেল আহমদ হত্যা মামলার ৩ আসামীকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমানের (পিপিএম) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক রুবেল হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামী সাবকে ইউপি সদস্য সরফ উদ্দিন নবাবের ৩ দিনের, তার ভাই তিন নম্বর আসামী আবু হোসেনের ২ দিনের ও আট নম্বর আসামী আব্দুল মতিনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরে আদেশ দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা আদালত থেকেই আসামীদের থানায় নিয়ে গেছেন।

নিহত রুবেল আহমদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেছরীগুল গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে। চলিত বছরের ৮ এপ্রিল আসামীরা তাকে নির্মমভাবে খুন করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার কেছরীগুল গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে রাজমিস্ত্রী রুবেল আহমদ হত্যাকান্ডের ৮ মাস পর গত ৪ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে যান সাবেক ইউপি মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাব, তার ভাই আবু হোসেন ও সহযোগী মতিন আহমদ। গত মঙ্গলবার এই মামলার দশ নম্বর আসামী আব্দুল শুকুর জামিন নিতে গেলে মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার তাকে কারাগারে পাঠান।

চলিত বছরের ৮ এপ্রিল জুমার নামাজের সময় বড়লেখা সদর ইউপির কেছরিগুল জামে মসজিদের ইমামকে নিয়ে কেছরিগুল এলাকার জামাল আহমদের সঙ্গে বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দেন। আসরের নামাজের সময় জামাল আহমদের ছেলে ও ভাতিজাদের সঙ্গে সদর ইউপির বর্তমান মেম্বার সাবুল আহমদের ভাই সাবেক মেম্বার সরফ উদ্দিন নবাবের ছেলে ও ভাতিজাদের ঝগড়া হয়। ঘটনার সময় রুবেল আহমদ কাজ শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় তাঁকে (রুবেলকে) জামাল আহমদের পক্ষের লোক ভেবে আটকে রেখে মারধর শুরু করেন ইউপির মেম্বার সাবুল আহমদ ও তাঁর ভাই সরফ উদ্দিন নবাব গংরা। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে রুবেল গুরুতর আহত হন। রুবেলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই সুমন আহমদও আহত হন। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই ফয়ছল আহমদ ইউপি মেম্বার সাবুল আহমদকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা করেন।

আদালত পুলিশের জিআরও এএসআই পিযুষ কান্তি দাস জানান, বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে কারাগার থেকে আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় আদালত থেকেই আসামীদের থানায় পাঠানো হয়েছে।