লাতু ডেস্ক:: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন- আজকের গণসাবেশ সিলেটের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টিকারী এক সমাবেশ। গণসমাবেশ একদিনের থাকলেও তিন দিন ধরেই সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ এ মাঠের দখল নিয়ে আছেন। সিলেটের এ গণসমাবেশ প্রমাণ করে সরকারের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই।
নিত্যপণ্যের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটে আয়োজিত বিএনপির গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আরিফ আরও বলেন- সিলেটের জনগণ সরকারকে দেখিয়ে দিয়েছে, সিলেটে মাঠি বিএনপির ঘাটি। সিলেটবাসী বিএনপি, বিএনপির চলমান আন্দোলনের সবগুলো দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। সিলেটবাসীসহ দেশের সব মানুষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন- আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্তি করবো। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।
সিলেট মহানগরের চৌহাট্টা এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এ গণসমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছেন।
সিলেটের গণসমাবেশ থেকে বিএনপির নেতারা দিচ্ছেন সরকার পতনের মুহুর্মুহু হুংকার। ইতোমধ্যে মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর পরিচালনায় শুরু হওয়া সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন মহানগর মহিলা দলের সভাপতি রোকসানা বেগম শাহনাজ। এর আগে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়।
পরে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ধারাবাহিকভাবে ব্ক্তব্য শুরু করেন। গণসমাবেশে বক্তারা আরও বলেন- বর্তমান সরকার এই দেশকে ধ্বংস করে দিয়ছে। দেশকে বাঁচাতে এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে। না হলে দেশ ও মানুষের মুক্তি নেই।
বক্তারা আরও বলেন, আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করছে সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই। আজকের এই সমাবেশে আমাদের সবার একই কথা- দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে।