বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



কুলাউড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা
অভিযোগ পরিবারের

অভিযোগ পরিবারের



বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।

কিশোরীর মা-বাবার অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা এ জন্য সুরমান মিয়া (২৫) নামের এক আইসক্রিম বিক্রেতাকে দায়ী করেন।

পুলিশ ও কিশোরীর বাবার ভাষ্যমতে, গত সোমবার রাতে ওই কিশোরী মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে কিশোরীর মা ঘুম থেকে জেগে দেখেন তাঁদের মেয়ে ঘরে নেই। এ সময় মা-বাবা ঘরের জানালা খোলা এবং জানালার ওপর বিস্কুট ঝোলানো দেখতে পান। পরদিন সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পেছনে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও মাটিতে উপুড় অবস্থায় কিশোরীর দেহ দেখতে পান।

কিশোরীর বাবা বলেন, ‘প্রায় ১৫ দিন আগে আমার মেয়েকে আইসক্রিমের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আইসক্রিম বিক্রেতা সুরমান মিয়া। আমি থানায় অভিযোগ করতে চাইলে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মতিন ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কিবরিয়া হোসেন খোকন জোর করে সালিসি বৈঠক করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বৈঠকে সুরমানের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা আমাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে মর্মে সাদা কাগজে আমাকে টিপসই দেওয়ার জন্য বলেন ইউপি সদস্যরা। আমি বিষয়টি মানিনি। থানায় অভিযোগ করার চেষ্টা করি। তখন আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখান সুরমান ও কাজল। এর জেরেই গত সোমবার রাতে সুরমান ও কাজল আমার মেয়েকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান। পরে মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলে রেখে যান।’

জানতে চাইলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মতিন বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় কোনো সালিসি বৈঠক করা যায় না। আমি কোনো বৈঠকে ছিলাম না।’

১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কিবরিয়া হোসেন খোকন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা সত্য নয়। কিশোরীটি মানসিক রোগী ছিল। সুরমান ওই এলাকায় আইসক্রিম বিক্রি করতে গেলে সে তাঁর কাছে আইসক্রিম চায়। সুরমান দেয়নি। এ জন্য কিশোরীর মা ও বাবা মিলে সুরমানকে মারধর করেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়ির মালিক কামাল চৌধুরীর দোকানে মেম্বার আব্দুল মতিনসহ আমরা মা-বাবাকে নিয়ে বৈঠক করি।’

কুলাউড়া থানার ওসি মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। থানায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সুরমান ও কাজলকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে।