লাতু ডেস্ক:: হবিগঞ্জের মাধবপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন কুয়েত প্রবাসী মো. জালাল মিয়া।
মো. জালাল মিয়া বলেছেন, আমি বিদেশের মাটিতে পরিশ্রম করে টাকা রোজগার করি। মাসে মাসে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই। আর আমার স্ত্রী এ টাকার বেশি অংশ খরচ করে তার পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে মাধবপুর প্রেস ক্লাবে কুয়েত প্রবাসী মো. জালাল মিয়া সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে এভাবেই অভিযোগ তুলে ধরেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তি উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের মিঠাপুকুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে জালাল মিয়া।
অভিযুক্ত ব্যক্তি একই উপজেলার বহরা ইউনিয়নের গাঙ্গাইল গ্রামের রইছ আলীর মেয়ে মনোয়ারা খাতুন।
জানা গেছে, জালাল মিয়া প্রায় ২৫ বছর আগে মনোয়ারা খাতুনকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পাঁচ বছর পর আয় রোজগারের জন্য তিনি কুয়েত চলে যান।
সংবাদ সম্মেলনে জালাল মিয়া বলেন, আমি দেশে আসার আগে থেকে টাকার হিসাব চাইলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় আমার স্ত্রী মনোয়ারা ও তার প্রেমিক একই এলাকার দুলাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর পর পর দেশে আসি। বিদেশের মাটিতে আয়-রোজগার করে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই। গত ২৫ মার্চ দেশে আসি। বিদেশ থাকাকালীন বাড়িতে স্ত্রীর কাছে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার পাঠিয়েছি। এ সুযোগে মনোয়ারা বেগম প্রতিবেশী দুলাল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এ ঘটনা আমি শুনে দেশে ফিরে স্ত্রী ও দুলালের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে অকথ্যভাবে গালিগালাজ করে এবং হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমাকে ভিটেমাটি ছাড়ার হুমকিও দিয়েছে দুলাল ও মনোয়ারা। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এরপর স্ত্রী মনোয়ারা ও তার প্রেমিক দুলাল মিয়ার হুমকির মুখে আমি সন্তানদের নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে জলিল একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে।