বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

ছুটি বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের



বিজ্ঞাপন

নিউজ ডেস্ক:: করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সশরীরে পাঠদান বন্ধ থাকবে ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর আগেও দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ ছিল সশরীরে পাঠদান। সবকিছু সচল রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ছুটি বাড়ানো হচ্ছে নাকি ৬ই ফেব্রুয়ারির পর সশরীরে ক্লাস শুরু হবে তা জানতে উদ্‌গ্রীব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ইঙ্গিত মিলছে চলমান এই ছুটি বাড়তে পারে এক থেকে দুই সপ্তাহ আর শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রদানের গতি বাড়াতে টিকা সপ্তাহ করারও কথা ভাবছে সরকার।

করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সেইসঙ্গে চলছে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা প্রদানের কাজ। করোনার সংক্রমণ হার অধিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এই সংক্রমণ আরও দুই সপ্তাহ বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা যায়, করোনার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পূর্বের বছরের মতো ধাপে ধাপে বাড়বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি।

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনার সংক্রমণ হারের এই ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে নন তারা। তবে ক’দিন ধরে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল আছে। তবে এই অবস্থার উন্নতি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ থেকে ১৪ দিন বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে করোনা নিয়ন্ত্রণ বিষয় জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ড. মো. শহিদুল্লাহ পর্যবেক্ষণের কথা জানান। তিনি আরও বলেন, আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখছি। এরপর আমাদের মতামত জানাবো। সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব হয়তো হবে না। আমরা অনলাইন ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হচ্ছে। ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলার বিষয়ে তাগাদা দিয়েছে ইউনিসেফ। ইউনিসেফ’র নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক বিবৃতিতে বলেন, স্কুল খোলা রাখুন। স্কুলগুলো পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত। কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ধরনটি সারা বিশ্বে যখন ছড়িয়ে পড়ছে, এটি যাতে শিশুদের পড়াশোনাকে ব্যাহত করতে না পারে, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।

পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের তাদের শেখার পথে ফিরিয়ে আনতে ইউনিসেফ কিছু সুপারিশও করেছে। এরমধ্যে অন্যতম শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের অবিলম্বে টিকা দিতে হবে। প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯-এর টিকাদানের পরপরই এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের সম্পূর্ণরূপে সমর্থন ও অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানান।