বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ



মৌলভীবাজার হাসপাতালে দ্রুত যুক্ত হবে অক্সিজেন প্ল্যান্ট, মিটবে সংকট



বিজ্ঞাপন

সাইফুল্লাহ হাসান :: মৌলভীবাজারে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে যুক্ত হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। অক্সিজেন প্ল্যান্ট ভবনের ঢালাইকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঈদুল আযহার পরপরই সার্বিক কাজ ও সার্ভিস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এটি বাস্তবায়ন করছে ইউনিসেফ। এটির ধারণক্ষমতা বর্তমানে ১১ হাজার লিটার। এর মধ্যে চলে এসেছে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট হাসপাতালের জন্য একটা বড় যোগান। প্রতি লিটার তরল অক্সিজেন থেকে ৮৬০ লিটার গ্যাসীয় অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এটি সম্পন্ন হলে হাসপাতালের ২৫০ শয্যার প্রতি শয্যায় অক্সিজেন লাইন থাকবে। অপারেশন থিয়েটারসহ যেখানে প্রয়োজন সেখানে অক্সিজেন লাইন রাখা যাবে।

মৌলভীবাজার পৌরসভা মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান নির্মাণাধীন অক্সিজেন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে বলেন, কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইউনিসেফ জানিয়েছে ঈদের পরপর লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন শেষে সার্ভিস দিতে পারবে। আমরা দীর্ঘদিন থেকে ব্যক্তি উদ্যোগে এই হাসপাতালে অক্সিজেন যোগান দিয়ে যাচ্ছি। এই প্ল্যান্ট হলে দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ নিরসন হবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুসারে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধে ইউনিসেফের অর্থায়নে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের উদ্যোগ নেয়া হয়। গত বছর উদ্যোগ নেয়া হলেও কাজ এগিয়েছে ধীরগতিতে। হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু অক্সিজেন প্লান্ট না থাকায় অক্সিজেন সরবরাহে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছেন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। দীর্ঘদিন পর হলেও দ্রুত শুরু হতে যাচ্ছে অক্সিজেন প্লান্টের সার্ভিস। ফলে করোনা রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের ভোগান্তি কমবে। অক্সিজেন প্লান্ট সার্ভিস শুরু হলে করোনা রোগী সহ জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশাল একটা সাপোর্ট হবে।

এ বিষয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, অক্সিজেন প্ল্যান্টের ফলে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা আগের চেয়ে বেশি সেবা পাবে। অক্সিজেন প্ল্যান্টের ঢালাইকাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে। এরপর এখানে বসবে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, বসবে অক্সিজেন ট্যাংক। ইতিমধ্যে ১১ হাজার লিটারের লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক চলে এসেছে।