নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার জিডি হওয়ার সূত্র ধরে ২ শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম (পিপিএম-সেবা) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রাতেই এ দুই শিশু সিয়াম আহমেদ (১০) ও ইমরান আহমেদকে (০৮) বাহুবল থেকে উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, উদ্ধার হওয়া দুই শিশু আপন দুই ভাই। তারা হবিগঞ্জ শহরস্থ হরিপুর নানার বাড়িতে থাকে। মা রুজিনা আক্তার দেড় বছর আগে ভাগ্য অন্বেষণে বিদেশে (জর্ডানে) পাড়ি জমান। গরীব বাবা স্বপন মিয়া ঢাকায় থাকে। মাছের আড়তে কাজ করে। মাঝে মধ্যে বাচ্চাদের দেখতে আসে। দুই অবুঝ সন্তান মা-বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হয়ে নানা-নানীর আশ্রয়ে বসবাস করছে।
প্রায় ১৫ দিন পূর্বে তাদের নানী ঢাকায় তাদের আরেক খালা অসুস্থ হওয়ায় চলে যান। অবুঝ দুই ভাই প্রায় অসহায় হয়ে পড়ে। ৯ নভেম্বর সকাল বেলা দুই ভাই বৃদ্ধ নানাকে না জানিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। পাড়ায় তাদের দুই সহপাঠীকে পেয়ে বলে নানীর কাছে ঢাকা যাচ্ছে। অবুঝ দুই ভাইকে তাদের নানা ও পাড়াপড়শীরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সদর মডেল থানায় সন্ধ্যার সময় জিডি করেন। দুই ভাইয়ের সন্ধানে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রাখি। দুই ভাই হাঁটতে হাঁটতে বাহুবলের মিরপুর এলাকার দিকে চলে যায়। এক সদয় ব্যক্তি তাদের জিজ্ঞাসা করে হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া পুলিশ ক্যাম্পে অবগত করলে এসআই সেলিম দুই ভাইকে কামাইছড়া ক্যাম্পে নিয়ে যান।
আমার নির্দেশনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি টিম ও অবুঝ দুই ভাইয়ের নানাসহ কামাইছড়া ক্যাম্প থেকে থানায় নিয়ে আসে। দুই ভাইকে জিজ্ঞাসা করা হয়। মূলত তারা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ায় একত্রে বাহির হয়ে চলে যায়। রাতে দুই ভাইকে তাদের নানার জিম্মায় হস্তান্তর করি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত নিজ নিজ সন্তানদের প্রতি স্নেহ মমতা ও খোঁজ খবর রাখা। দূর্ভাগ্যক্রমে দুই শিশু সন্তান যদি কোন দুষ্ট চক্রের কবলে পড়তো তাহলে হয়তো তাদের জীবনে দুর্দশা নেমে আসতো। সবাই সচেতন হই। অন্যদেরকেও সচেতন করি।