নিউজ ডেস্ক: প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি দেখে বাল্যবিয়ে রূপ নিলো মিলাদ মাহফিলে। মেয়ের বাবা ও স্থানীয় মুরব্বীরা বলতে থাকেন বিয়ে না এখানে মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের জেরার মুখে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা স্বীকার করেন তারা।
পরে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোরীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে উপজেলা প্রশাসন। একইসঙ্গে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে উপজেলা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেন বাবা।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নছরতপুর গ্রামে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ অনুযায়ী বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের নছরতপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে খোকন মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মো. সফিক মিয়ার স্কুলপড়ুয়া মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল আজ বৃহস্পতিবার।
মেয়ের বিয়ের সকল আয়োজন শেষ করেছিলেন সফিক মিয়া। বরপক্ষের লোকজনের জন্য ভুরিভোজের ব্যবস্থাও করেছিলেন বাড়ির আঙিনায়। তবে মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক এমন সংবাদ শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করে। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাদ্দাম হোসেনসহ শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতেই বাল্যবিয়ে বদলে মিলাদ মাহফিল হয়ে যায়। তারপর আমাদের জিজ্ঞাসবাদে সত্যতা বেরিয়ে আসে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আজ অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি মেয়ের বিয়ে আমরা বন্ধ করেছি। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা সরকারের এ কাজগুলো করছি।