রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

হবিগঞ্জে একটি লেবুর দাম দেড় টাকা, চাষীরা হতাশ
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

আড়তে একটি লেবুর সর্বোচ্চ দাম দেড় টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে চাষীদের। হঠাৎ লেবুর দাম কমায় হবিগঞ্জের চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। ১ হাজার লেবু ১৫ থেকে ১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গাছ থেকে ১ হাজার সংগ্রহ করতে শ্রমিক মজুরি দিতে হয় কমপক্ষে ৩০০ টাকা। তারপর রয়েছে যাতায়াত খরচ। করোনার পরিস্থিতির শুরুতে খুচরা বাজারে একটি লেবু সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ হিসেবে চাষীরাও আড়তে লেবু বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন। আড়ৎদাররা বলছেন, বর্তমানে লেবুর উৎপাদন বেড়েছে। সেই সঙ্গে চালান পাঠানোও কঠিন হয়ে পড়েছে, যাতায়াত খরচ বেড়েছে।


জেলার বাহুবল, চুনারুঘাট, মাধবপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি এলাকাকে ঘিরে পতিত জমি আবাদ করে প্রায় তিন হাজার চাষী লেবুর চাষ করছেন। বারো মাস লেবুর ফলন হচ্ছে। এ লেবু জেলার মুছাই, মিরপুর, চন্ডিছড়া, মাধবপুর, শ্রীমঙ্গল আড়তে পাহাড়ি চাষীরা বিক্রি করেন। আড়ৎ থেকে পাইকাররা কিনে স্থানীয় বাজার বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছেন। দেশের বাইরেও এ লেবু সরবরাহ হয়ে থাকে।

করোনা আসার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝেও লেবুর চাহিদা বেড়েছে। সরবত ও তিনবেলা খাবারের সঙ্গে লেবু ব্যবহার হচ্ছে।

আলাপকালে জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুর পাহাড়ের লেবু চাষী মর্তুজ আলী বলেন, ২৬ মে দেড় হাজার লেবু মুছাই আড়তে ১৮০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এরচেয়ে ভাল ১ হাজার লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকায়। এতে তিনি হতাশ। লেবু চাষে শ্রম দিতে হয়। আর শ্রম দিলে গাছে লেবুর ভাল উৎপাদন হয়। চোরচক্রের হাত থেকে লেবু গাছ বাগান পাহারাও দিতে হচ্ছে। গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করে যানবাহন করে আড়তে নিয়ে যেতে হয়।

তিনি বলেন, লেবু গাছে গোবর ও সার দিলে উৎপাদন বেড়ে যায়। এসব দিতে প্রচুর খরচ। সে তুলনায় বর্তমানে লেবুর দাম নেই। পবিত্র রমজান মাস শেষে হঠাৎ করে লেবুর দাম কমেছে। আমার মতো শত শত চাষী বিপাকে পড়েছেন।

মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ সময়ে লেবু খাওয়া ভালো। লেবুর রস মিশ্রিত পানি পানীয় হিসেবে চমৎকার। কেবল স্বাদে নয়, গুণেও। বিজ্ঞানীরা বলছেন, লেবুর রস মিশ্রিত পানি পাকস্থলী ও অন্ত্রের অন্যান্য অংশ থেকে পাকরস তৈরি ত্বরান্বিত করে। ভারী খাবারের সঙ্গে লেবুপানি পান করলে গ্যাস কম হবে, পেট ফাঁপবে কম।


হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন বলেন, লাভজনক হওয়ায় হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ে চাষীরা আগ্রহের সঙ্গে ব্যাপকভাবে লেবু চাষ করছেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গাছে গাছে লেবুর উৎপাদন বেড়েছে, দামও কমে কমেছে। তবে তুলনামূলক দাম থাকা প্রয়োজন, তা না হলে চাষীরা ঝুঁকিতে পড়বেন।