সব জল্পনা কল্পনার অবসান হলো। মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন দুই পবিত্র মসজিদ মক্কার মসজিদে হারাম তথা কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববিতে অনুষ্ঠিত হবে রমজানের বিশেষ ইবাদত তারাবিহ। দুই মসজিদের প্রেসিডেন্ট শায়খ সুদাইসি এ ঘোষণা দিয়েছেন।
কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববিতে তারাবিহ নামাজ চালু থাকলেও ইফতার ও ইতেকাফ হবে না। হারামাইন কর্তৃপক্ষ রমজানে দুই পবিত্র মসজিদের কার্যক্রম নিয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা ঘোষণা করেছেন শায়খ সুদাইসি। আর তাহলো-
>> তারাবিহ
– কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববিতে স্টাফদের নিয়ে তারাবিহ অনুষ্ঠিত হবে। এতে সাধারণ জনগণ উপস্থিত হতে পারবে না।
– তারাবিহ নামাজের রাকাআত সংখ্যা কমিয়ে ১০ রাকাআত করা হয়েছে। ১০ রাকাআত তারাবিহ এবং বিতর পড়া হবে।
– দুই জন সম্মানিত ইমাম তারাবিহ ও বিতর নামাজে ইমামতি করবেন। প্রথম ইমাম ৩ সালামে ৬ রাকাআত নামাজ পড়াবেন। দ্বিতীয় ইমাম ২ সালামে ৪ রাকাআত নামাজ, বিতরসহ সাফা তথা কুনুত (দায়া) পড়াবেন।
– কুনুত তথা দোয়া সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
>> ইফতার
– দুই পবিত্র মসজিদ মক্কা মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে ইফতারের সম্মিলিত বিশাল আয়োজন বাতিল করা হয়েছে।
– তবে রোজাদারদের জন্য দুই মসজিদে ইফতার আয়োজনের পরিবর্তে মক্কা ও মদিনা শহরের চারদিকে ইফতারের বক্স সরবরাহ ও বিতরণ করা হবে।
ইতেকাফ
– পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে এবার আর ইতেকাফ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এ দুই মসজিদে মুমিন মুসলমানের ইতেকাফে বসাকে বাতিল করা হয়েছে।
>> ওমরাহ
– এবারের রমজানেও ওমরাহ বন্ধ থাকবে। শুধু রমজানেই নয়, পুনরায় নোটিশ দেয়ার আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ওমরাহ।
>> পুরো কুরআন পড়া হবে
– এবারও পুরো কুরআন পড়া হবে। তবে তা পরিপূর্ণ করতে তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ মিলিয়ে পূর্ণ করা হবে। কুরআন পড়া (খতম) পরিপূর্ণ করতে প্রথম রমজান থেকে ২৯ রমজানের রাত পর্যন্ত তারাবিহ ও তাহাজ্জুদ অনুষ্ঠিত হবে।
>> স্বাস্থ্য পরীক্ষা
– মক্কা ও মদিনায় তারাবিহ ও তাহাজ্জুদের অংশগ্রহণকারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে।
– জানাজায় অংশগ্রহণকারীরাও এ স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় থাকবে। অর্থাৎ যারা জানাজায় অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরই জানাজায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
২১ এপ্রিল মোতাবেক ২৮ শাবান দুই পবিত্র মসজিদে প্রেসিডেন্ট শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল আজিজ আস-সুদাইসি হারামাইন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নেয়া এ সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য ২২ এপ্রিল মোতাবেক ২৯ শাবান সৌদি আরবে রমজানের চাঁদ দেখা গেলে ২৩ এপ্রিল প্রথম রোজা পালন করবে সৌদি আরব। আর যদি শাবান মাস পূর্ণ হয় তবে ২৪ এপ্রিল শুক্রবার পালিত হবে প্রথম রোজা।