বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

নবীগঞ্জে সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বন্ধুকে খুন
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সাবেক প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বন্ধুকে খুন করে মোহাম্মদ আলী রুবেল নামে এক যুবক। আর পাওনা টাকা না দেয়ায় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় আরো দুই বন্ধু।


শুক্রবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী নবীগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

এ ঘটনায় পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী রুবেল।

গ্রেফতার আসামিরা হলেন, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ইছগাঁও গ্রামের ধনাই মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী রুবেল, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপির উজিরপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া ও মৌলভীবাজার জেলা সদরের ঘোড়াখাল গ্রামের জমশেদ মিয়ার ছেলে রনি।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, রিপন মিয়ার ফুফাতো বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মোহাম্মদ আলী রুবেল। সম্প্রতি রিপনদের বাড়িতে বেড়াতে আসার সুবাধে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে জায়েদ হোসেনের সাথে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৬ মার্চ পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়। এই খবর শুনে সাবেক প্রেমিক মোহাম্মদ আলী রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।


এদিকে রিপন ও রনির সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল জায়েদের। বিষয়টি জানার পর মোহাম্মদ আলী রুবেল খোঁজ নিয়ে রিপন ও রনির সঙ্গে যোগাযোগ করে তিন জন মিলে জায়েদ হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

গত ৪ মার্চ রাতে শেরপুর বাজার থেকে জায়েদ মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাওয়ার পথে পারকুল পাওয়ার প্লান্টের কাছে গতিরোধ করে রনি, রিপন ও রুবেল। এ সময় তারা তাকে খুন করে মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।

পরদিন নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের মা মোছা. মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে নামে। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন আসামিকে ধরলে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হয়।