১৫ মার্চ দুবাই থেকে দেশে ফেরেন এই প্রবাসী। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিদেশ ফেরত ব্যক্তির বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা। কিন্তু তিনি তা না করে অবাধে চলাফেরা করছিলেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গিয়ে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি দেশে ফেরার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক জুড়ী থানার পুলিশ নিয়ে তাঁর বাসায় যান। এ সময় তাঁকে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বললে তিনি তাঁদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তাঁদের বকাঝকা করে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অসীম চন্দ্র বণিক সেখানে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে তা আদায় করেন। একই সঙ্গে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিক রাত পৌনে নয়টার দিকে বলেন, প্রবাসী ওই ব্যক্তি কোয়ারেন্টিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। পাশাপাশি চিকিৎসক ও পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ কারণে তাঁকে অর্থদণ্ড করা হয়।
ওই প্রবাসী তাঁর ভুল স্বীকার করে বলেন, পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়সীমার মধ্যে আর বাসার বাইরে বেরোবেন না।