সর্দি, কাশি, শুষ্ক গলা, এবং জ্বর; যখন কেউ অসুস্থ বোধ করেন তখন এসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ আর শুরুতেই এসব উপসর্গ দেখে অনেক সময় বোঝা কঠিন যে এটি ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ৷
প্রথম দেখায় করোনা ভাইরাসের, যা ২০১৯-এনকভ নামেও পরিচিত, লক্ষণগুলো আর সাধারণ ঠান্ডা বা সর্দি জ্বরের লক্ষণগুলো একই মনে হতে পারে৷
করোনা ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণগুলো:
জ্বর
শুষ্ক কাশি
শ্বাসকষ্ট
মাংসপেশিতে ব্যথা
ক্লান্তি
করোনা ভাইরাসের সচরাচর দেখা যায় না এমন লক্ষণগুলো:
কফ তৈরি হওয়া
মাথাব্যথা
কফে রক্ত আসা
ডায়রিয়া
করোনা ভাইরাসের বিরল লক্ষণগুলো:
সর্দি
গলা ব্যথা
সর্দি এবং গলা ব্যথা হচ্ছে শ্বাসযন্ত্রের উর্ধাংশের সংক্রমণ৷ ফলে যাদের সর্দি আছে এবং গলাব্যথা করছে তারা সাধারণ কোন ঠান্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যায়৷
শুরুতে অনেকের কোন লক্ষণই দেয়া যায় না৷
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে অনেকের শরীরেই কোন লক্ষণ দেখা যায় না৷ জার্মান সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা রবার্ট-কখ্-ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড হচ্ছে ১৪ দিন৷
আপনি যদি অসুস্থ বোধ করার পর নিশ্চিত না হন যে কী হয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন৷ একজন চিকিৎসক আপনার কফ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে পারবে আপনার ঠিক কী হয়েছে৷
রেসপিরেটরি মাস্ক কি উপকারী?
আসলে না৷ বর্তমান করোনা ভাইরাস নাক ঝাড়া এবং কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তির দেহ থেকে বের হওয়া ‘ড্রপলেটের’ মাধ্যমে ছড়ায়৷ ফলে, নিরাপদ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে যারা সংক্রমিত বা সম্ভবত সংক্রমিত, তাদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা৷ সংক্রমণমুক্ত থাকতে সাবান এবং গরম পানি দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধু তাই নয়, সম্ভব হলে হাত ধোয়ার পর তা মুছতে ‘ডিসপোসেবল টাওয়েল’ ব্যবহার করলে ভালো হয়৷
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ ঠান্ডা বা ফ্লু হয় ভাইরাসের কারণে৷ ফলে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার অর্থহীন৷ এন্টিবায়োটিক শুধু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজে লাগে, ভাইরাস নয়৷
এন্টিবায়োটিক তখনই কাজে লাগে যখন কারো শরীরের দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে ব্যাকটেরিয়া তার শরীরে প্রবেশ করে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে৷ আর এভাবে সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে যা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে৷ নিউমোনিয়া, টন্সিলে প্রদাহ, সিসটাইটিস বা মেনিনজাইটিস অধিকাংশক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে৷ তাই সেসব রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন৷