হবিগঞ্জে দাফনের ১১ দিন পর কবর থেকে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে হত্যার পর ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি সকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাদিনাতুল কোবরা জেরিন স্কুলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে মনে করে তার লাশ দাফন করা হয়। নিহত জেরিন সদর উপজেলার ধল গ্রামের আবদুল হাই মিয়ার কন্যা। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে ভিন্ন কাহিনি। সড়ক দুর্ঘটনা নয়, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাকে সিএনজি অটোরিকশা থেকে ফেলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে জানতে পারে পুলিশ।
এ ঘটনার পরদিন সদর উপজেলার ধল গ্রামের গ্রামের দিদার হোসেনের ছেলে জাকির হোসেনকে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জাকির স্বীকার করে, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলে যাওয়ার পথে জেরিনকে সিএনজি অটোরিকশা থেকে ফেলে হত্যা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ থানা পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার উপস্থিতিতে জেরিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম ও হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী উপস্থিত ছিলেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, ‘আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মূল ঘাতক জাকিরকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।’