ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছয়জনই হবিগঞ্জের। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন হবিগঞ্জের যাত্রী রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ শহরতলীর আনোয়ারপুরের আলী মো. ইউনুছ (৩০), বহুলা গ্রামের আলমগীর আলমের ছেলে ইয়াছিন আলম (১২), চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি পশ্চিম তালুকদার বাড়ির ফটিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২২), একই উপজেলার পীরের গাঁওয়ের আব্দুল হাসিমের ছেলে সুজন মিয়া (২৫), বানিয়াচং উপজেলার মর্দন মুরত গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে আল আমিন মিয়া (৩৪) ও একই উপজেলার টাম্বলী টুলা গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আদিবা আক্তার (৪)।
বানিয়াচংয়ের নিহত আল-আমিনের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া জানান, চাচা মনু মিয়া ও ভাই শামীমকে সঙ্গে নিয়ে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন আল-আমিন। পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আল-আমিন। বাকি দুইজনকে আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চুনারুঘাটের নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া বলেন, স্থানীয় শানখলা মাদ্রাসার দাখিল পড়ুয়া ছাত্র ছিলেন রুবেল। ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরতে হলে তাকে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিহত সবার নাম অফিসিয়ালি শনাক্ত করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করা হবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা স্টেশনে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।