মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্তে ছয় বাংলাদেশিকে গুলি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বিজিবি। তবে গুলিবিদ্ধ অন্য পাঁচজন পালিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ফুলতলা বিওপির সীমান্ত পিলার ১৮২৩/২৬-এস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বাপ্পা মিয়া (৩২) উপজেলার পূর্ব বটুলি গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে এবং গুলিবিদ্ধ আব্দুল কালাম (৩০) একই এলাকার সফিক মিয়ার ছেলে। গুলিবিদ্ধ অপর চার বাংলাদেশির নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে ৮-১০ বাংলাদেশি ভারত থেকে গরু আনতে ফুলতলা সীমান্তে যায়। একপর্যায়ে তারা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ ১৬৬ ব্যাটালিয়নের ইয়াকুবনগর ক্যাম্পের টহল দল।
এতে ছয় বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তারা পালিয়ে আসেন। খবর পেয়ে বিজিবি ফুলতলা বিওপির টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাপ্পা মিয়াকে আটক করে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ আব্দুল কালাম পালিয়ে এসে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত অন্যরা বিজিবির ভয়ে আত্মগোপনে থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে, সীমান্তে বিএসএফের গুলি ছোড়ার ঘটনায় বিকেলে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।
জুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গরু আনতে সীমান্তে গেলে কয়েকজন বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে বিএসএফ। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। পাঁচজন পালিয়ে গেলেও একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বিজিবি। ঠিক কয়জন গরু আনতে গিয়েছিল তা নিশ্চিত জানা যায়নি।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিকেলে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে বিজিবি। বিএসএফের গুলিতে আহত একজনকে সিলেট ওসমানী নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিজিবি পৌঁছার আগেই গুলিবিদ্ধ অন্যরা পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি।