হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় দুধপাতিল গ্রামের তামান্না আক্তার পিয়া (১৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার পিয়ার চাচাতো ভাই আলমগীর মিয়া (২৫) বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় পিয়াকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে আলমগীর জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে বাহুবল উপজেলার চন্ডপুর মাজারের পাশ থেকে পিয়া হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন আলমগীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পিয়া হত্যার পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। নারুঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায়। আলমগীর গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে হত্যার বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে স্বীকারোক্তি দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী স্বীকারোক্তি দেন আলমগীর।
চুনারুঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, আলমগীর মিয়া দুধপাতিল গ্রামের আব্দুল হাশিমের ছেলে। পিয়া ও আলমগীর সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। আলমগীর প্রেম ও বিয়ের কথা বলে পিয়াকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পিয়া তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে পিয়া। এ অবস্থায় বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক আলমগীর ৭ অক্টোবর পিয়াকে ডেকে নেন পাশের গ্রামের আকাশী বাগানে। বিয়ে করতে অপারগতার কথা জানালে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।
এর একপর্যায়ে পিয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আলমগীর। পরদিন বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে আকাশী বাগান থেকে পিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পিয়ার বাবা আব্দুল হান্নান এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহার বলেন, আসামি আলমগীর একাই পিয়াকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এখন দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল করা যাবে।