বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

নবীগঞ্জে ওসি-এসআই’কে কোপানো সেই মুসা ধরা পড়েনি, তিন বোনসহ মা আটক
ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট



বিজ্ঞাপন

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসার হামলায় ওসি (তদন্ত) ও এসআই আহত হওয়ার ঘটনায় মুসার মা এবং তিন বোনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।

তবে এখনও পলাতক রয়েছেন মুসা। মুসাকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান চালানো হয়। সকাল থেকেও বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।


আটককৃতরা হলেন- মুসার মা শামছুন্নাহার, বোন মৌসুমী আক্তার, তান্নি আক্তার ও শাম্মি আক্তার।

এ ঘটনায় এসআই ফিরোজ আহম্মেদ বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে মামলা করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহরের সালামতপুর এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি ছাত্রলীগ নেতা শাহ সোহান আহমেদ মুসার দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে চাইলে দোকান থেকে ধারালো একটি রামদা নিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মুসা। একই সঙ্গে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি পুলিশকে কোপাতে থাকেন তিনি।

রামদার কোপে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) উত্তম কুমার ও উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুজ্জামান রক্তাক্ত হন। সেই সঙ্গে গুরুতর আহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সুযোগে পালিয়ে যান ছাত্রলীগ নেতা মুসা।


পরে স্থানীয় লোকজন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ কনস্টেবলদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমারকে সিলেটে পাঠানো হয়।

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, মুসা একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালালে সে অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।