মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে সুলেমান (১৩) নামক এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত সুলেমান উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পুর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত বাজিদ আলীর পুত্র।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পুর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত বাজিদ আলীর পুত্র কিশোর সুলেমান গত ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির উত্তর পাশে একটা বটগাছের নিচে বসা ছিলো।
এ সময় লোক মারফত একই গ্রামের আনু মিয়ার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আনু মিয়ার পুত্র রেদোয়ান মিয়ার নেতৃত্বে সুলেমানকে তাদের ঘরের ভেতরে রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট করা হয়।
তাঁর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক মিয়াসহ আরও লোকজন এসে সুলেমানকে মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পঠানো হয়। সেখোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলেমান মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত কিশোরের বড় ভাই বাদী হয়ে ৮ সেপ্টেম্বর রোববার কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুলাউড়া থানা পুলিশ আনু মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪০) ও মেয়ে আসলিমা বেগমকে (১৮) গ্রেফতার করা করেছে।
কর্মধা ইউনিয়নের মেম্বার মো. মাসুক মিয়া জানান, পুর্ব শত্রুতা থাকতে পারে। আমি ছেলেকে উদ্ধার করে দ্রুত মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর সেখান থেকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, ঘটনার সাথে জড়িত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
