শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে —জুড়ীতে পরিবেশ মন্ত্রী
জুড়ী প্রতিনিধি

জুড়ী প্রতিনিধি



বিজ্ঞাপন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, আমাদের দেশে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা অনেক পিছিয়ে আছে। এই বৈষম্য দুর করে সকলকে সমান ভাবে এগিয়ে নিতে হবে। শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের ও দেশের জন্য কাজ করে যেতে হবে। সব জাতি গোষ্ঠীর শিক্ষার অধিকার রয়েছে। সে অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে।


তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার যুগে কাউকে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই, প্রতিযোগিতা করেই আগাতে হবে। সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মণিপুরী সম্প্রদায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। দেশের সতের কোটি মানুষের ৩৪ কোটি হাতকে কাজে লাগাতে হবে। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে লেখাপড়া করতে হবে। লক্ষ্যহীন শিক্ষা কোন কাজে লাগে না।

মন্ত্রী শুক্রবার বিকাল ৬টায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলারপূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের মণিপুরী শিল্পকলা একাডেমিতে উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক।


অটল কৃষাণ সিংহ সিবেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত লায়লা নীরা, অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, ভাইস চেয়ারম্যান রনজিতা শর্মা, পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কাদির, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল খালিক, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মামুনুর রশীদ সাজু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছোট ধামাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রনজিত সিংহ।

উপস্থিত ছিলেন পূর্ব জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদ, উপজেলা নৃতাত্বিক পরিষদ নেতা গোপেশ্বর সিংহ, মণিপুরী শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ভাগ্য সিংহ, মইনুল ইসলাম, শেখরুল ইসলাম, আব্দুল মতিন প্রমুখ।


অনুষ্ঠানে মণিপুরী সম্প্রদায়ের ৫০জন শিক্ষার্থীকে চার হাজার টাকা করে দুই লাখ টাকা এবং চারশ শিক্ষার্থীর মাঝে ছয় লাখ টাকা মূল্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।