হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে এক শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলার পুটিজুরী শরৎ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শেণির ছাত্র রায়হান আহমেদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত ৮টায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আসাদুজ্জামান।
আহত রায়হান আহমেদ মীরের পাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্লাস চলাকালীন অমনোযোগী ছিল দশম শ্রেণির ছাত্র রায়হান। এ সময় শিক্ষক শাহজাহান মিয়া তাকে বেত্রাঘাত করেন। এতে রায়হানের বাম হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক তাকে তালাবদ্ধ করেও রাখেন।
পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী জানান, এর আগেও শিক্ষক শাহজাহান ছাত্রদের ছোট কারণে অতিরিক্ত মেরেছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকদের দুইটি গ্রুপ রয়েছে। আহত ছাত্র রায়হান অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রুপে ছিলেন না। তাই ওই শিক্ষক তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম গিয়ে ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন।
সাময়িক বহিষ্কারের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রেণিকক্ষে রোল কল করছিলেন শিক্ষক শাহজাহান। এ সময় কয়েকবার রায়হানের নাম ডাকা সত্ত্বেও সে সাড়া দিচ্ছিল না।
‘পরবর্তীতে ওই শিক্ষক তাকে মেরেছেন। ঘটনায় আহত ছাত্রের সহযোগী এবং পরিবারের লোকেরা শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন, বিষয়াটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকায় এর বেশি আমি জানতে পারিনি। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।