মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মৃত্যু নিয়ে নানা বিতর্ক ও রহস্যের সৃষ্টি হওয়ায় দাফনের ১৩ দিন পর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের মহলাল রাফিনগর গ্রামের কবরস্থান থেকে স্কুলছাত্রী তাসলিমার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের মহলাল রাফিনগর গ্রামের জহুর উদ্দিনের মেয়ে কুলসুমা বেগম তসলিমার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হলে বিষয়টির মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তাসলিমার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে নামে পুলিশ।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার (১২ জুলাই) তাসলিমার মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মৌলভীবাজার সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেসার উদ্দিনের উপস্থিতিতে কুলাউড়া থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার তাসলিমার মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে পাঠায়।
কুলাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে আমরা তদন্তে নামি। তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়ানাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তাসলিমার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, হিন্দুধর্ম থেকে মুসলমান ধর্মগ্রহণ করা একই ইউনিয়নের টিকরা গ্রামের আব্দুল আজিজ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমঘটিত কারণে তাসলিমার মৃত্যু নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়।
স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাসলিমার। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে সম্মান হারানোর ভয়ে নির্যাতনের কারণে মৃত্যু হয়েছে তাসলিমার।