গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং উজানের ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদ এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ধলাই এবং কুশিয়ারা কয়েকটি জায়গায় ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে অন্তত ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মনু নদের পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার, ধলাই নদের ৬৩ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদীর পানি ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক জানান, কমলগঞ্জ উপজেলায় আদমপুর , রহিমপুর ইউনিয়ন এবং কমলগঞ্জ পৌরসভার একটি ওয়ার্ডসহ ৩০ থেকে ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ।
অন্যদিকে কুশিয়ার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা, ব্রাম্মণগ্রামসহ ৬টি গ্রামের ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া এসব এলাকায় অন্তত ১০টি স্থান ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, (রাত ১২ টার সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে) ধলাই নদের পানি বিপদসীমার ৬৩ সে. মি. উপরে, মনু নদের পানি চাদনীঘাট পয়েন্টে ৬০ সে. মি. উপরে, কুশিয়ারা নদী ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদী, মনু ও ধলাই নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আশা করা হচ্ছে পানি নেমে যাবে। নদীভাঙন ও বন্যা এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।