বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচন: মনোনয়ন পেতে আ’লীগ নেতাদের দৌড়ঝাঁপ
বিশেষ প্রতিনিধি

বিশেষ প্রতিনিধি



বিজ্ঞাপন

আগামী ২৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রার্থী তৎপর রয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির হাইকমান্ডে সিদ্ধান্তে সাবেক মেয়র কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ নির্বাচন করবেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মর্তুজ আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি (গত নির্বাচনে প্রার্থী) আতাউর রহমান সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক (গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী) মিজানুর রহমান মিজান, জেলা স্বেচ্ছসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মোঃ পারভেজ হাসান।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরর পর থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা পৌর এলাকায় বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৭ মে তফসীল ঘোষণার পর থেকে ওই প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য সকল স্থানে শুরু করেছেন দৌঁড়ঝাপ।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু বলেন, দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। মনোনয়ন না পেলে কি করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। আগে-তো মনোনয়ন চাইতে হবে। দেখা যাক কি হয়।

পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, গত নির্বাচনের পর থেকে সুখে-দুখে জনগণের পাশে আছি। আমি আশা করি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। জনগন চাইলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।

হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়র কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছ বলেন, দলের সিদ্ধান্তে মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ফলে মেয়র পদটি শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই দলের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্তে উপ-নির্বাচনে আমি মেয়র পদে অংশগ্রহণ করবো।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেন, দলীয় সভানেত্রীর নেতৃত্বে গঠিত স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডই প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত বিদ্যমান।

হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, হবিগঞ্জ পৌরসভার ভোট যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ মে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ৯ জুন, ১০ জুন প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৪ জুন ভোটগ্রহন ।

উলেক্ষ্য, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়। পরে পৌর প্যানেল মেয়র দিলীপ দাসকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়া হয়।