হঠাৎ করে ঝড়ের তাণ্ডবে হবিগঞ্জে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে। উড়ে গেছে ঘরের টিন চালা। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার সকালে হঠাৎ করেই জেলার উপর দিয়ে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়।
এ সময় হবিগঞ্জ শহর, বানিয়াচং, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বিকেলে আবারো দমকা হাওয়ার সাথে ঝড়ো বাতাস শুরু হলে তাতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও শহরের খোয়াই নদীপাড়ে অবস্থিত বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বসে নদীতে পড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জাবেদ আহমেদ জানান, ঝড়ো হওয়ার সাথে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ধসে নদীতে পড়ে যায়। আর এতে করে প্রতিষ্ঠানে থাকা সকল মালামালও নদীর পানিতে ভেসে যায়। ফলে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মাটি ধসে নদীতে পড়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি যানবাহনও পানিতে তলিয়ে যায়। পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম জানান, ঝড়ো হাওয়ার সময় রেডক্রিসেন্ট ভবনের টিনের চালা উড়ে গেছে। আর এতে করে ভবনে থাকা মালামালের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ার সাথে দমকা বাতাসের কারণে শহরের বেশ কিছু স্থানে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তবে বড় ধরনের কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এর মধ্যে শহরের রেডক্রিসেন্ট ভবন, অনন্তপুর ও খোয়াই নদীপাড়ের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ঘরেরই টিনে চালা উড়ে গেছে।
জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ঝড়ে বেশ কিছু স্থানে ক্ষয়-ক্ষতির খবর আমরা পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের তালিকা করে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।