সমাজসেবা ও জনসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদক’ এ ভূষিত হয়েছেন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, গবেষক, লেখক ও সমাজ সংষ্কারক ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ।
আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে তিনি স্বাধীনতা পুরষ্কার গ্রহণ করবেন।
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ ১৯৪৩ সালের ১২ মার্চ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও এলাকার এক বনেদি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মৌলানা কাজী মুফজ্জল হোসেন ছিলেন একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি ১৯৪৬ সালে নির্বাচিত এম এল এ ছিলেন। ড. খলীকুজ্জামানের মাতা বেগম মরহুম ছহিফা খাতুন ছিলেন একজন মহিয়ষী নারী। তদানিন্তন সময়ে শিক্ষা বিস্তারে তিনি ব্যাপক কাজ করে গেছেন।
বরেণ্য অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সমাজ ভাবনার অন্যতম ব্যক্তিত্ব কাজী খালিকুজ্জামানের রংতুলির জীবনবাদী আঁচড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশ বিদেশের আনাচে কানাচে।
পরিবেশের উপর তিনি যুগান্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির স্বর্ণপদক-২০১২, সমাজসেবায় একুশে পদক-২০০৯, ২০০৭ সালের শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ইন্টারগভর্নমেন্ট প্যানেল অব ক্লাইমেট চেঞ্জ এর সদস্য, ২০০৫ সালে মার্কেন্টাইল ব্যাংক পুরষ্কার।
পারিবারিক জীবনে ড. কাজী খলীকুজ্জামান অত্যন্ত সফল ও সুখী জীবনযাপন করছেন। তাঁর স্ত্রী ড. জাহেদা আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপনা করছেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ড. জাহেদা বিভিন্ন গবেষনায় জড়িত রয়েছেন। তাঁদের দুজন সন্তান রয়েছেন। একজন কাজী রুশদী আহমদ অপরজন কাজী উরফী আহমদ।