প্রবাসীদের জন্য পাঁচ থেকে দশ বছর মেয়াদি ভিসা চালু করার কথা ভাবছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার- সম্প্রতি এমন কথাই ভাসছে প্রবাসীদের মধ্যে। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্য ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ (এফএআইসি)-এর উদ্যোগে এই ভিসা দেওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে এটি নিয়ে।
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, দেশটিতে শতভাগ মালিকানাধীন বিদেশি কোম্পানি, বিনিয়োগকারী, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ বছরের ভিসা প্রদান করার ব্যাপারে কথা চলছে। এছাড়াও উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহীদের জন্যেও এই ভিসা দেওয়া হতে পারে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১২ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার। এ কারণে ভিসা সংক্রান্ত যে কোনও খবর পেলেই নড়েচড়ে বসেন প্রবাসীরা। এখন নতুন করে সেই পালে হাওয়া লেগেছে, কারা পেতে পারেন পাঁচ থেকে দশ বছরের ভিসা- এই আলোচনাই এখন সবার মুখে মুখে।
জানা গেছে, পাঁচ থেকে দশ বছরের ভিসা দেওয়ার মাধ্যমে দেশটিতে বসবাসের সহজ সুযোগ যারা পাবেন তাদের দ্বারা আরব আমিরাতই বেশি লাভবান হবেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পাস হওয়া এই ভিসা সংক্রান্ত আইনে প্রথমে ব্যবসায়ীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যে ভূমিকা রাখবেন।
এদের মধ্যে ব্যবসায় শতভাগ বিনিয়োগ করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে দশ বছরের ভিসা প্রদানের নিয়ম করা হয়। যেমন- প্রচলিত ধারায় আরব আমিরাতে ক্ষুদ্র বা মাঝারি ধরনের ব্যবসাতে কোনও প্রবাসী শতভাগ বিনিয়োগ রাখতে পারেন না। এদের কোনও না কোনোভাবে স্থানীয় ব্যক্তি বা স্পন্সরদের মাধ্যমে ব্যবসার লাইসেন্স করতে হয়। কেবল দুবাই ফ্রি জোনে এককভাবে ব্যবসায় বিনিয়োগ করা যায়। এদের মূলধনও ছাড়িয়ে যায় মিলিয়ন দিরহামের ওপর। এক্ষেত্রে ওই ভিসার জন্যে আবেদনকারী সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব।
অন্যদিকে, আমিরাতে অধ্যয়নে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঁচ থেকে দশ বছরের ভিসার আওতায় রাখার খবরও প্রবাসীদের আলোচনায় স্থান পাচ্ছে। তবে জানা গেছে, এই ভিসার আওতায় সাধারণ শিক্ষার্থী নয় বরং আমিরাতে উচ্চশিক্ষার জন্যে আসা শিক্ষার্থীরাই এই সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদি কোর্স রয়েছে তারাই প্রাধান্য পাচ্ছেন।