বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

কমলগঞ্জে ‘ভুয়া ওয়ারেন্টে’ ব্যবসায়ী নেতাসহ তিনজনের ৮ ঘন্টা কারাবাস
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ‘ওয়ারেন্টে’ গ্রেপ্তারের পর সেটি ‘ভুয়া’ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ ঘণ্টা হাজতবাস করে ছাড়া পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী নেতাসহ তিনজন।

সোমবার ভোর রাত সাড়ে ৩টায় কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর এলাকার নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন বৃন্দাবনপুর রাজদিঘীরপাড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান (৪৫), নন্দগ্রামের আবু বক্কর (৪২) ও ইমরান আহমদ (৩৩)।

একটি ‘ওয়ারেন্ট’ হাতে নিয়ে কমলগঞ্জ থানার শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ যান তাদের বাড়িতে তাকে গ্রেপ্তার করতে। হঠাৎ করেই পুলিশ আসার কারণ জানতে চেয়ে অবাক হন ফজলুর রহমান নিজেও।

ফজলুর রহমানকে পুলিশ সদস্যরা জানান, তার নামে ঢাকার কদমতলী থানা থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে।

অথচ ফজলুরের নামে কোনো মামলাই নেই। তিনি পুলিশকে জানান, তার নামে কোন মামলাই নেই। রাত ৩টা ২০ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এভাবে একই ‘ভুয়া ওয়ারেন্টে’ এলাকার নন্দগ্রামের আবু বক্কর (৪২) ও ইমরান আহমদ (৩৩) কে আটক করে পুলিশ।

রোববার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে এই অভিযান চালায় শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ।

পরে পুলিশ আটককৃত তিনজনকে এনে প্রথমে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ এই তিনজনকে গ্রহণ না করায় রাতে তাদেরকে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির হাজতে রাখা হয়।

সকালে খবর পেয়ে এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে আসলে পুলিশ ওয়ারেন্টটি ‘ভুয়া’ বলে প্রমাণ হয়। পরে সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, ঢাকার কদমতলী থানায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলার ওয়ারেন্টটি আমাদের কাছে আসায় আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। পরে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ভুয়া মনে হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কে বা কারা এই বিষয়টি করেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আইনজীবী বলেন, ‘নিরীহ লোকদের বিনা অপরাধে হয়রানি-মানহানি করতে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র তৎপর রয়েছে। তারাই ‘ভুয়া ওয়ারেন্ট’ ইস্যু করছে।

‘ভুয়া ওয়ারেন্টের’ বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের শনাক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে তিনি জানান।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে পাঠানো একটি মামলার ওয়ারেন্টে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। ওয়ারেন্টটি ভুয়া মনে হওয়ায় সোমবার সকালে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাদেরকে সসম্মানে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে এ জাতীয় ভুয়া ওয়ারেন্টের কপি কিভাবে কমলগঞ্জে এসেছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

ঢাকার আদালত থেকে যারা ওয়ারেন্টের কপি লেখেন তাদের মাধ্যমে এই কাজ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।