রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

মনু নদের খনন কাজ: কাজের মেয়াদ শেষ, কিন্তু কাজই শুরু হয়নি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক



বিজ্ঞাপন

কাজের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনও শুরুই হয়নি মৌলভীবাজারে মনু নদ খননের কাজ। নির্ধারিত মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ কাজ শুরু না করায় একে গাফিলতি এবং দুর্নীতির সূত্র খুঁজছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, বন্যাপ্রবণ এলাকা মৌলভীবাজারের মনু নদের ২৩ কিলোমিটার নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষে ২৩ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়াধীন বিআইডব্লিউটিএ। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা শুরু হয়নি। পরিবেশবাদীরা মনে করছেন, কাজ না করিয়েই টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশে মেয়াদ শেষ হবার সময় এসে গেলেও এখনও কাজ শুরু করেনি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। কারণ বর্ষা মৌসুমে পানি চলে আসলে প্রমাণ করা যাবে না যে কাজ হয়েছে নাকি হয়নি।

Molvibazar

বিআইডব্লিউটিএ এর স্থানীয় অফিস না থাকায় দীর্ঘদিন মনু খননের তথ্য লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়। তবে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মণ্ডল স্বাক্ষরিত একটি চিঠি তাদের কাছে আসে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি। চিঠিতে উল্লে­খ করা হয় বিআইডব্লিউটিএ এর একটি প্রকল্পের আওয়তায় ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মনু নদী ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০১৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই কাজে বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সেই চিঠির পর প্রায় ১ বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

মৌলভীবাজার পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, সহযোগিতা চেয়ে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে চিঠি দিলেও এরপর আর কোনো যোগাযোগ করেনি তারা। আমরা সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, বর্তমানে কি করা হচ্ছে প্রকল্পটি কোনো অবস্থায় আছে পাউবো অবগত নয়।

Molvibazar

মৌলভীবাজারের পৌর মেয়র ফজলুর রহমান জানান, এ অঞ্চল বন্যাকবলিত এক বছর হয়ে গেল এখনও কোনো কাজ বিআইডব্লিউটিএ করেনি। যাদের গাফিলতির জন্য এই টাকাগুলো ফেরত যাবে তাদের শাস্তি দাবি করছি।

বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী প্রকৌশলী সমিরন পাল জানান, গত বছর মে মাসে কাজ শুরু করতে গিয়েও করা যায়নি বালু মহল ইজারাদারদের কারণে এর পর পরই আসে বন্যা। নানাভাবে কাজটি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

এদিকে সরেজমিনে মনু নদের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও ড্রেজিংয়ের কাজ দেখা যায়নি। তবে দুটি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। বালু উত্তোলনের কারণে প্রতিরক্ষা বাধ হুমকির মুখে জানিয়ে গতকাল থানায় জিডি করেছে পাউবো মৌলভীবাজার অফিস।