হাফিজা-১, জালালিয়া, তানহা ও ডুম—এই চার জাতের ধানের উদ্ভাবনের পর এবার ক্যান্সার প্রতিরোধক লাল ভুট্টা উদ্ভাবন করেছেন কুলাউড়ার বিজ্ঞানী ও লেখক ড. আবেদ চৌধুরী।
গতক ২০ জানুয়ারি রোববার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ উদ্ভাবনের কথা জানান তিনি।
আবেদ চৌধুরী বলেন, ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টায় পুষ্টিমান অনেক বেশি। ভুট্টায় ক্যারোটিন থাকার কারণে মূলত এর রং হলুদ হয়। তাই আমি রঙিন ভুট্টার ক্লোন উদ্ভাবন করেছি। তাৎপর্যের বিষয় হলো- এই ভুট্টা ক্যান্সার প্রতিরোধক।
বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজ করার অনুমতি পেয়েছেন। এই গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি দেশে বরাবর আবাদ হয়ে আসা ভুট্টার জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে রঙিন ভুট্টার প্রজাতি উদ্ভাবন করেছেন।
এই জিন বিজ্ঞানী বলেন, জেনিটিক্যালি মডিফায়েড করে এ ধরনের ভুট্টা তৈরি করা হয়। আমরা চাইলে যেকোনো ফসলকে ইচ্ছামতো রং দিতে পারি। নতুন উদ্ভাবিত এই ভুট্টা বছরে চারবার চাষ করা যাবে। এ সময় কৃষকদের এই ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি কুলাউড়া উপজেলার ভুট্টা চাষিসহ সফল কৃষকদের মাঝে ভুট্টার বীজ বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, আবেদ চৌধুরী একজন জিন বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখক। তিনি ১৯৫৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের কানিহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।