মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি.কে গউছ সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় মেয়রবিহীন হয়ে পড়েছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। এমনকি এখন পর্যন্ত কাউকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রও করা হয়নি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম। পৌর নাগরিকগণ পৌরসভায় বিভিন্ন সেবা পেতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বারবার।
অতীতেও মেয়র না থাকায় প্যানেল মেয়রকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতো। ভারপ্রাপ্ত মেয়র পৌরসভার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। পৌরসভা থেকে বলা হয় মেয়রের দায়িত্বে কেউ না আসা পর্যন্ত এখন কোনো সেবা দেয়া সম্ভব হবে না। তবে শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
পৌরসভা সূত্র জানায়, গত ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবরে মেয়র জি কে গউছ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোঃ সফিউল আলম বলেন, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন করে পদত্যাগ করেছেন। নিয়মমাফিক তা গৃহিত হবে, তবে এব্যাপারে পরবর্তীতে কোনো সিদ্ধান্তের চিঠি আমাদের কাছে আসেনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জি কে গউছের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন মেয়র পদশূন্য ঘোষণা করে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলে পৌরসভার মেয়র হিসেবে জি কে গউছ বহাল থাকবেন।
মেয়র জি কে গউছ বলেন, রিটার্নিং অফিসারসহ নির্বাচনের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করলেও তাঁরা আমাকে জানিয়েছিলেন মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের মৌখিক নির্দেশেই আমি পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।