মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পুলিশের বিরুদ্ধে জাহিদ মিয়া (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। তবে পুলিশ বলছে অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে হার্টফেল করে সে মারা গেছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ তাকে আটক করার পর রাত সাড়ে ৯টায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
নিহত জাহিদ জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাঁও এলাকার মৃত বশির মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘জাহিদের সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধ ছিলো। এর আগেও একবার স্ত্রী মল্লিকা বেগমের মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। শনিবার রাতে তার ভাই ফুলতলা বাজারে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ জুড়ী থানার এসআই ফরহাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে তাকে আটক করে বাসায় নিয়ে যায়৷ সেখানে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অবস্থান করছিল। আধাঘণ্টা পর তাকে আধমরা অবস্থায় বের করে পুলিশ৷ পরে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’
তবে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জাহিদকে পুলিশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আটক করে। পরে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে তল্লাসি চালিয়ে ৬ পিস ইয়াবা, ৪ বোতল ফেনসিডিল ও ২ বোতল মদ উদ্ধার করে। এ সময় সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে সে হার্টফেল করে মারা যেতে পারে।
