শনিবার, ২১ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বছরজুড়ে যেসব ঘটনায় আলোচিত ছিল কানাইঘাট



বিজ্ঞাপন

সুজন চন্দ অনুপ, কানাইঘাট:
২০১৮ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে আলোচিত ছিল কানাইঘাট। নানা নেতিবাচক ঘটনার পাশাপাশি ইতিবাচক দিকও ছিল বছর জুড়ে।

বেশ কয়েকটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বছর জুড়ে বেশ কয়েক জন কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ডাকাতদলের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ বিপুল পরিমাণ দেশী অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এছাড়া র‌্যাব ও পুলিশ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কানাইঘাটের সিমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমান চোরাই পণ্য সামগ্রী, মাদকদ্রব্য ও বিষ্ফোরকের কয়েকটি চালান আটক করেন। সব মিলিয়ে ২০১৮ সাল কানাইঘাটে ভাল-মন্দের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছিল।

গেল বছরের ১৩ জানুয়ারি ৫ম শ্রেণির ছাত্র রিমন চন্দ্র দাস রাজ (১০) গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কানাইঘাট বাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর কামার পট্টি নামক ঘাটে। আজও তার লাশ খোঁজে পাননি স্বজনরা। রাজ গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন গ্রামের মৃত রবিন্দ্র দাসের পুত্র। সে মায়ের সাথে ডালাইচর গ্রামে তার মামার বাড়ীতে থাকতো।

২৪ জানুয়ারি উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউপির হিম্মতের মাটি গ্রামের আলাউদ্দিনের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী কুলসুমা বেগম (৪৫) দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। কুলসুমা বেগম আগের দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে গ্রামের একটি সমিতির সভায় অংশগ্রহণের কথা বলে বের হলে পরদিন সকালে ভবানীগঞ্জ খালের পারে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

২৯ জানুয়ারি বিকাল ২টায় লোভা কোয়ারীতে ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে মঈন উদ্দিন (৪০) নামে এক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহত মঈন উদ্দিন উপজেলার ভালুকমারা গ্রামের শরিফ উদ্দিনের পুত্র।

১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সোনাতন পুঞ্জি গ্রামে স্বামীর ছুরিকাঘাতে খুন হন স্ত্রী জাহানারা বেগম (২০)।

২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টায় লোভা কোয়ারীতে পাথর উত্তোলনের সময় গর্তে পাথর চাপায় ফরহান উল্লাহ (৫৫) নামের এক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কাইল্যা গ্রামের মৃত আমান উল্লাহর পুত্র।

২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টায় পানির মোটরে সুইচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পৃষ্ট হয়ে ফয়েজ উদ্দিন কয়েছ (২৭) নামে এক রাজমিস্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সে উপজেলার দিঘীরপার পুর্ব ইউপির শাহপুর গ্রামের মৃত ছমর উদ্দিনের পুত্র। ঘটনার দিন পার্শ্ববর্তী কাজীর গ্রামের আব্দুর রহমানের বাড়ীতে রাজমিস্ত্রীর কাজে থাকা অবস্থায় এ ঘটনাটি ঘটে ছিল।

২ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার বড়চতুল ইউপির দুর্গাপুর ঈদগাহ এলাকায় একটি ট্রাক্টর উল্টে মাটি কাটা শ্রমিক শাহাদত উল্লাহ (২২) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সে একই ইউপির কাজির পাতন গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

২৯ মার্চ রাত ৮ টায় চতুল বাজারে ভাগ্না আলমাছ উদ্দিনের দারালো দা’র কোপে মামা নাজিম উদ্দিন (৩০) নির্মমভাবে খুন হন। তিনি বড়চতুল ইউপির রতনপুর কোনাপাড়া গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র এবং চতুল বাজারের ব্যবসায়ী ছিলেন।

৩ এপ্রিল সকাল ৯টায় লক্ষিপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির নিহালপুর রাস্তায় লোভাকোয়ারী থেকে পাথর নেওয়ার সময় ট্রাক্টর উল্টে ফয়েজ আহমদ (২২) নামের পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সে উপজেলার সাতবাঁক ইউপির চরিপাড়া (মাজরডি) গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।

এছাড়াও ৩ এপ্রিল রাত ১১টায় উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউপির ছত্রনগর গ্রামের আয়াছ আলীর পুত্র সুলতান আহমদ (১১) ঔষধ ভেবে ভুলে কিটনাশক পান করলে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

১৯ এপ্রিল রাতে ডাকাতদের গুলিতে কানাইঘাট সদর ইউপির ছোটদেশ আগফৌদ গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইফজাল উদ্দিন (৩৫) নিহত হন।

২৫ এপ্রিল দুপুর ১টায় উপজেলার সদর ইউপির বীরদল পূর্ব হাওর গ্রামে পুকুরে ডুবে ১৮ মাসের শিশু রাফি মারা যায়। সে বানীগ্রাম ইউপির ছত্রপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী রইছ উদ্দিনের পালক পুত্র।

২৬ এপ্রিল সকাল ৮ টায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির কালীনগর (আগফৌদ) গ্রামের ফারুক আহমদ (৪৫) ধারালো চাকুর আঘাতে নির্মমভাবে খুন হন।

৩০ এপ্রিল বোরো ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেন বড়চতুল ইউপির রায়পুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর পুত্র ইয়াহইয়া (২৮)।

১ মে বিকাল ২টায় বড়চতুল ইউপির হারাতৈল হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে বজ্রপাতে হারাতৈল উপর বড়াই গ্রামের করিম আলীর পুত্র দুর্গাপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তুফায়েল আহমদ তামিম (১৩) ও তার চাচাতো ভাই ফখরুল আহমদের পুত্র হারাতৈল আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্র সালমান আহমদ (১১) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

৯ মে বিকাল ৩ টায় লেগুনার ধাক্কায় আব্দুল্লাহ নামের ৩ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির বড়দেশ (সর্দারীপাড়া) গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সাইফুল আলমের পুত্র।

এছাড়াও ৯ মে সাতবাঁক ইউপির পিরনগর গ্রামে রাত ৯ টায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ভাতিজা সাহেল আহমদ (২২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে চাচা কুতুব আলী।

১১ মে কানাইঘাট পৌরসভার গোসাইনপুর মসজিদে রমজান মাসে ইমাম রাখা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একই গ্রামের মৃত জয়াদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী (৬০) মারা যান।

২৩ মে সকাল ১১ টায় লক্ষিপ্রসাদ পূর্ব ইউপির কেউটি হাওর (কেরকেরী) পশ্চিম গ্রামে পানিতে ডুবে ওই গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে তাহফিজ উদ্দিন (৬) তাদের প্রতিবেশী একই গ্রামের বছল উদ্দিনের মেয়ে ফাইজা বেগম (৪) নামের দুই শিশু তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।

২৪ মে দুপুর ২ টায় ফালজুর ব্রিজ সংলগ্ন বোরহান উদ্দিন রোডে লেগুনার ধাক্কায় ট্রাক চালক গিয়াস উদ্দিন (২৪) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি সদর ইউপির বীরদল কচুপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র।

২৭ মে সকাল ১১টায় উপজেলা সদরে আসার পথে মন্দিরের ঘাট থেকে যাত্রীবাহী ইঞ্জিন নৌকাটি ছাড়ার সময় বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা পাথরবাহী স্টীল নৌকার ধাক্কায় হাসনা বেগম (২৬) এর কোলে থাকা শিশু সুহেব (১) সুরমা নদীতে পড়ে ডুবে মারা যায়।

১৩ জুন সকাল ১১টায় বজ্রপাতে সাদিক আহমদ (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে উপজেলার বড়চতুল ইউপির কাদির গ্রামের আব্দুশ শুকুরের পুত্র।

১৪ জুন সন্ধ্যায় ভাইয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার পথে চতুল হকারাই সড়কে একটি লেগুনা থেকে ছিটকে পড়ে রাজিয়া বেগম (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার বড়চতুল ইউপির বড়চতুল গ্রামের জমসেদ আলীর স্ত্রী।

১৯ জুন বিকাল ৪টায় নিজ বাড়ী থেকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে আসার পথে বানের পানিতে ডুবে হোসনে আরা বেগম (৩৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউপির দক্ষিণ ঠাকুরের মাটি গ্রামের মতি মিয়ার স্ত্রী।

২ জুলাই সকাল ৯ টায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ইসলাম উদ্দিন (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সে কানাইঘাট পৌরসভার বায়মপুর (লক্ষিপুর) গ্রামের মখলিছুর রহমানের পুত্র।

২০ জুলাই বিকাল ৫ টায় উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউপির পূর্ব রামপুর গ্রামের সাজিদ আলীর পুত্র আলমগীর হোসেন (৩০) পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটের ঘটনায় নিহত হন।

১৬ আগস্ট সকাল ৬ টায় উপজেলার বায়মপুর (বদিকোনা) গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফারুক আহমদ (৪২) খুন হন। ফারুক আহমদ বায়মপুর (বদিকোনা) গ্রামের মৃত আসদ রাজা পুত্র।

৩০ আগস্ট দুপুর ১২ টায় লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সুনাতন পুঞ্জি গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে রিনা বেগম (১৮) এর লাশ জৈন্তাপুর উপজেলার ঠাকুরেরমাটি গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রিনা বেগম তার স্বামী বিলাল উদ্দিনের বোনের বাড়ীতে ঈদুল আজহার দাওয়াত খেতে গিয়ে সেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিল।

৩১ আগস্ট সকাল ১০ টায় বড়চতুল ইউপির নাপিত খালের ব্রিজের নিচে একটি ব্যাগ থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টায় নিজ বসতঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে পলি দাস (২৮) নামে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু আত্মহত্যা করেন। তিনি উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউপির ফালজুর পুর্ব গ্রামের অর্জুন দাস এর স্ত্রী।

১৯ সেপ্টেম্বর পুকুরে ডুবে বড়চতুল ইউপির মোবারক আলীর পুত্র শোয়াইবুর রহমান (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়।

২ অক্টোবর উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউপির ফাগু গ্রামের মৃত ইজ্জত উল্লাহর পুত্র আব্দুন নুর (৪৭) পাশের বাড়িতে রহস্যজনকভাবে মারা যান।

৬ অক্টোবর সাতবাঁক ইউপির করডি গ্রামের রইছ উদ্দিনের স্ত্রী শিফা বেগম (২০) স্বামীর বাড়িতে বিষপানে রহস্যজনকভাবে আত্মহত্যা করে। তবে এলাকার জনমনে সন্দেহ রয়েছে শিফা বেগমকে তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করে।

১৩ অক্টোম্বর খাসিয়ার গুলিতে দনা সীমান্তে সোনার খেওড়ের জালাল উদ্দিনের পুত্র মামুন উদ্দিন (৩০) মারা যায়।

২৭ অক্টোবর সকাল ১০টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কানাইঘাট সরকারী কলেজের ছাত্র শামিম আহমদের (২২) মৃত্যু হয়। শামিম আহমদ উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির বড়দেশ খালোপাড় গ্রামের নছির আহমদ পেস্কারের পুত্র।

৮ অক্টোবর গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা এলাকা থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ দাফন সম্পন্ন করেছিল। ২৮ অক্টোবর ছবি দেখে মাওলানা মুহিবুর রহমান মোল্লার (৫০) লাশ শনাক্ত করে তাঁর পরিবার। এর আগে নিজ বাড়ি থেকে সিলেট শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন পৌরসভার রায়গড় গ্রামের মাওলানা মুহিবুর রহমান।

এছাড়া ২৮ অক্টোবর সকাল ১১টায় পৌরসভার নয়াখলা গ্রামের আফতাব উদ্দিনের শিশু কন্যা তানিশা বেগম (৫) বাড়ীর লোকজনের অগোচরে পুকুরে ডুবে মারা যায়।

৩১ অক্টোবর ভোর ৬ টায় লক্ষিপ্রসাদ পূর্ব ইউপির মিকির পাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুর রহমান (৩২) একটি গরু নিয়ে সুরমা নদী পার হওয়ার সময় নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়। এর দু’দিন পর সুরমা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে।

৭ নভেম্বর সকাল ১১টায় লেগুনা থেকে পড়ে গিয়ে শফিকুন নেছা (৬২) নামে এক বৃদ্ধা মহিলার মৃত্যু হয়।

৪ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় সিওমেক হাসপাতালে আলমগীর হোসেন (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার বড়চতুল ইউপির ইন্দ্রকোনা গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের পুত্র। তিনি পল্লীবিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গুরুতর আহত হয়েছিল।

৩০ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগ্রামের প্রতিবন্ধী ময়না মিয়া (৮০) নিজ বাড়ির সামনে আমন ধানের পাহারা ঘরে আগুনে পুড়ে মারা যান।