বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেট বিভাগ থেকে কারা ঠাঁই পাচ্ছেন মন্ত্রীসভায়?
খবর: সিলেট টুডে

খবর: সিলেট টুডে



বিজ্ঞাপন

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধিন মহাজোট। আজ (বৃহস্পতিবার) শপথ নেবেন নতুন সংসদ সদস্যরা। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে গঠন করা হবে নতুন সরকার। ফলে এখন রাজনীতিতে আলোচ্য হয়ে উঠেছে- কারা আসছেন নতুন সরকারের মন্ত্রীসভায়।

সিলেটের রাজনীতিতেও রয়েছে এই আলোচনা। চলছে না গুঞ্জন। সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে এবার ১৬টিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দুটিতে ঐক্যফ্রন্টের ও একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ছয়জন মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেতে পারেন বলে আলোচনা হয়েছে। টেকোনোক্রেট কোটায়ও একজন মন্ত্রী হতে পারেন বলে আলোচিত হচ্ছে।

দশম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারে সিলেট বিভাগের চারজন ঠাঁই পেয়েছিলেন মন্ত্রীসভায়। এরমধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী, নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী, সৈয়দ মহসিন আলী সমাজ কল্যান মন্ত্রী এবং এমএ মান্নান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

এর আগে সরকারে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেলিন সুনামগঞ্জের সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আর সমাজকল্যান মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন এনামুল হক মোস্তফা শহীদ।

গত দুই সরকারে সিলেটের সাংসদের মধ্যে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও সৈয়দ মহসিন আলী প্রয়াত হয়েছেন। আর বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার নির্বাচনে অংশ না নিয়ে রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।

সম্প্রীতি তিনি মন্ত্রীসভায় ডাক পেলে দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহের কথা প্রকাশ করলেও বয়স বিবেচনায় নতুন মন্ত্রীসভায় তাকে নাও রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মুহিতের বদলে এবার সিলেট-১ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তাঁর ভাই ড. একে আব্দুল মোমেন। জাতীসংঘে সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পালনকারী মোমেন এবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন বলে জোর আলোচনা রয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস ও শিক্ষার মান নিয়ে নিয়ে পুরো মেয়াদকালে সমালোচিত হলেও সিলেট-৬ আসনের সাংসদ নুরুল ইসলাম নাহিদ নতুন সরকারেও শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে বহাল থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।

আবুল মাল আবদুল মুহিত অবসরের ঘোষণা দেওয়ায় এবার কে হচ্ছেন তা নিয়ে রাজনীতি অনেকদিন থেকে জল্পনা কল্পনা চলছে। সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচত সাংসদ এমএ মান্নান এবার অর্থমন্ত্রনালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হতে পারেন বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সূত্রে জানা গেছে। মান্নান বর্তমানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নামও। ফরাস উদ্দিন এবার হবিগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। টেকনোক্রেট কোটায় এবার ফরাসউদ্দিনকে মন্ত্রীসভায় রাখা হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় রয়েছে বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের নামও। এমনটি হলে দীর্ঘদিন পর অর্থমন্ত্রনালেয়র দায়িত্ব হারাবে সিলেট। ‘৯০ সালে এরশাদের পতনের পর থেকেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে অর্থমন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিন ‘সিলেটি’- এম. সাইফুর রহমান, শাহ এএমএস কিবরিয়া ও আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মন্ত্রী হতে পারেন বলে আলোচনায় রয়েছে সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদের নামও। ইমরান বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। ইমরানের নির্বাচনী প্রচারণায়ও জয়ী হলে তিনি মন্ত্রী হবেন বলে জানিয়েছিলেন একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা।

২০০১ সালে সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পান মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর সরকারদলীয় চীফ হুইপ হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলেও উপেক্ষিত হন শহীদ। এবার তিনি মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেতে পারেন বলে মৌলভীবাজারের রাজনীতিতে আলোচনা রয়েছে।

একইসঙ্গে আলোচিত হচ্ছে মৌলভীবাজার-১ আসনের সাংসদ শাহাব উদ্দিনের নামও। বর্তমানে হুইপের দায়িত্ব পালনকারী শাহাবউদ্দিন নিজ এলাকা থেকে বারবার নির্বাচিত হয়ে সংসদে এসেছেন।

তবে কারা মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পাবেন এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি বলেন, কে কোথায় যোগ্য সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের তিনি সবসময়ই মূল্যায়ন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। যোগ্যতমদের দিয়েই মন্ত্রীসভা গঠন করা হবে।