রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেটের উন্নয়নে মুক্তদিরের ২২ দফা পরিকল্পনা
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

সিলেটের উন্নয়নে নিজের ২২ টি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সিলেট-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। নিজের নির্বাচনী ইশতেহারে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর সাপ্লাই এলাকায় নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার প্রকাশ করেন মুক্তাদির।

‘জনগণ আমার শক্তি, উন্নয়ন আমার অঙ্গীকার’ শ্লোগানে ইশতেহারে সিলেটকে ‘ডিজিটাল গ্রীন মেগাসিটি’ হিসেবে একটি স্বতন্ত্র আসনে অধিষ্ঠিত করার ঘোষণা করেন মুক্তাদির। এসময় তার  ২২ দফা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সিলেট-১ আসনের বর্তমান ও সাবকে তিন সংসদ সদস্যকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ১৯৭৯ সালে এই আসনে তার পিতা খন্দকার আব্দুল মালিককে সিলেটবাসী জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছিলেন। তিনি সিলেটের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

এরপর তিনি বিএনপির নেতৃত্বে ৪ দলীয় জোট সরকারের অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তাঁর আমলে সিলেট-১ আসনে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। মুক্তাদির এ আসনের বর্তমান সাংসদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকেও ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা  করেন বলে উল্লেখ করেন। এরপরই তিনি তার ২২ দফা তুলে ধরেন।

তার পরিকল্পনায় রয়েছে সবুজ মহানগরী, আধুনিক ও নিরাপদ পর্যটন ও আধ্যাত্মিক নগরী, সড়ক, নৌ, রেল ও আকাশ পথে যোগাযোগ আরও উন্নত ও আধুনিক, যানজট নিরসনে রিং রোড স্থাপন ও গণপরিবহনের ব্যবস্থা, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, তথ্য  প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশ, নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য ভাষা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উৎকর্ষ সাধনে যাদুঘর প্রতিষ্ঠা, কৃষি ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একফসলি জমিকে তিন ফসলী জমিতে রূপান্তর, পূর্ণাঙ্গ চিড়িয়াখানা নির্মাণ, অত্যাধুনিক মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করণ, ভাসমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে কার্যকর উদ্যোগ, প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সেল গঠন, শিল্প বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা, শিল্পায়ন, চা  শ্রমিকদের মানোন্নয়ন, শ্মশাণঘাট আধুনিকায়ন, উন্মুক্ত পার্ক স্থাপন, নদী ড্রেজিং, জুয়া ও অসামাজিকতা বন্ধ, মাদকের মোকাবেলায় পদক্ষেপ গ্রহন, ওসমানী বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, খেলার মাঠ নির্মান ও প্রশিক্ষণ।

ইশতেহার ঘোষণার পর খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রায় প্রতিদিন বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ পুলিশী নির্যাতন ও হয়রানির স্বীকার। মঙ্গলবারও কান্দিগাঁও ইউনিয়নে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনকালে পুলিশ উপস্থিত হয়ে হামলা করে এবং যে বাড়িতে কমিটি গঠন করা হচ্ছিল তার ছোট ছেলেকে তারা ধরে নিয়েছে। একই অবস্থা হয়েছে মেজরটিলায়। সেখানে পুলিশ নিয়ে ছাত্রলীগের এক নেতা হামলা করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের বিচার দেওয়ার জায়গা নেই। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে বার বার জানানো সত্ত্বেও তারা তিল পরিমাণও ভূমিকা রাখছেনা। প্রতি রাতেই আমার নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ হামলা করছে। ২/১ জনকে ধরে নিচ্ছে। এমনকি রোগী বা পরীক্ষার্থীরাও তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা।

তার ডান পাশে বসা সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইনকে দেখিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাকেও থানায় নিয়ে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে ব্যার্থ। আর তাই আমরা তার পরিবর্তন চেয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।

এতসব অভিযোগ সত্ত্বেও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, আমরা এতকিছুর পরও নির্বাচনে আছি এবং থাকবো। ৩০ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান গ্রহন করবেন। সংবাদ সম্মেলণে আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী এবং সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম।

পরিচালনা করেন সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আজমল বখত সাদেক।

উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিসিক কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ ২৩ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।