সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেট বিভাগে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ১৬২১
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার ১৯ আসনের ২ হাজার ৮০৫ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৬২১ ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া ১ হাজার ১৮৪ ভোটকেন্দ্রকে সাধারণ ভোটকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

সিলেট জেলার ৬৯৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩২৩ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৭৬ ভোটকেন্দ্র সাধারণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ২২ লাখ ৫২ হাজার ৮০১ জন।

মৌলভীবাজার জেলার ৫১২ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৫৯ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৫৩ ভোটকেন্দ্র সাধারণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮ জন।

সুনামগঞ্জ জেলার ৬৬৮ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪১৬ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও ২৫২ ভোটকেন্দ্র সাধারণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭জন।

হবিগঞ্জ জেলার ৬৩৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪২১ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও ২১২ ভোটকেন্দ্র সাধারণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৬৬ জন।

সূত্র জানায়, বিভাগের ২ হাজার ৮০৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাধীন ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২৯৩টি। এর মধ্যে সিলেট-১ আসনে ২১৫টি ও সিলেট-৩ আসনে ৭৮ ভোটকেন্দ্র রয়েছে। সিলেট-৩ আসনের দক্ষিণ সুরমা থানা ও মোগলাবাজার থানা এলাকার ভোটকেন্দ্র মহানগর পুলিশের আওতাভুক্ত থাকলেও ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার কেন্দ্রসমূহ সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন। ১৯ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৮টি সংসদীয় আসন সিলেট রেঞ্জের আওতাভুক্ত।

সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাভুক্ত ২৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০২টি ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিলেট রেঞ্জ পুলিশের আওতাধীন ১৮টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ২ হাজার ৫১২। এরমধ্যে ১ হাজার ৪১৯ ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। অবশিষ্ট ১ হাজার ৯৩ ভোটকেন্দ্র সাধারণ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, প্রার্থীর পক্ষে কোনো গোষ্ঠী অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাতে পারে, ভোট কেন্দ্রের পাশে প্রার্থী বা তার নিকটাত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে এমন সব কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থান, এলাকার রাজনৈতিক অবস্থা ও ভোটকেন্দ্রের স্থাপনাকেও এ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের একটি সূত্র জানায়, সাধারণ ভোট কেন্দ্রগুলোয় দুই জন পুলিশ সদস্যসহ ১৪ জন, হাওরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোয় ৩ পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন ও শহরাঞ্চলের কেন্দ্রগুলোয়ও ৩ পুলিশ সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।

সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল ইসলাম জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে কোনও ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখা হবে। ইতোমধ্যে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে আসা ভোটারদের নিরাপত্তাসহ নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও নির্বাচনের কয়েকদিন আগ থেকেই বহিরাগতদের তৎপরতা ঠেকাতে সর্তকবস্থায় থাকবে আইশৃঙ্খলা বাহিনী।

সিলেট মহানগর উপ পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা (গণমাধ্যম) জানান, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশ সর্বোচ্চ সর্তকবস্থায় থাকবে। এছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাও মাঠে কাজ করবে। নির্বাচনি এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সমন্বয়ে গঠিত রিজার্ভ ফোর্স, কেন্দ্রভিত্তিক মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিরাপত্তায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কত সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তা এখনও আমাদের জানানো হয়নি।’