রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেট-৬: আওয়ামী লীগের মর্যাদা রক্ষা, বিএনপির ফেরার লড়াই



বিজ্ঞাপন

শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার:
বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৬ (নং- ২৩৪) আসন। এ আসনের বিয়ানীবাজার উপজেলা একদম সীমান্তঘেঁষা। দেশব্যাপী এ দু’টি উপজেলার পৃথক ঐতিহ্য রয়েছে। প্রবাসী অর্থ, উন্নত জীবনযাপন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রতিনিধিত্ব এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির আবাসস্থল বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে কোন রাজনৈতিক দলেরই একক আধিপত্য নেই। এখানে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিভিন্ন সময় জয়লাভ করেন। তবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এই আসন থেকে কখনো কেউ জয়লাভ করতে পারেনি। এবার অবশ্য ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মরণ কামড় দিয়েছে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। যে কোন মূল্যে এই প্রতিকের প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে রয়েছে বিএনপি এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্রগুলো।

আওয়ামী লীগও বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে নারাজ। টানা দুইবারের বিজয়ী নৌকা প্রতীককে হ্যাট্রিক বিজয়ী করতে ঘুম নেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের থিঙ্কট্যাঙ্কদের। দলীয় প্রতীকের বিজয় নিশ্চিতে কয়েকমাস পূর্ব থেকে কাজ করছেন দলের নেতাকর্মীরা। দেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের প্রতীক এবং প্রার্থী এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় উভয় দলের জন্য জয় এখন মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।

রাজনীতি সচেতনরা জানান, এই আসনে বিগত দিনে আওয়ামী লীগের আব্দুর রহিম ও নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাতীয় পার্টির গৌছ উদ্দিন ও শরফ উদ্দিন খসরু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ড. সৈয়দ মকবুল হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গবেষক ফয়জুর রহমান বলেন, সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের যেমন একটি বৃহৎ ভোট রয়েছে ঠিক তেমনি আওয়ামী বিরোধী এক ভোট ব্যাংক রয়েছে। এই বিরোধী ভোট ব্যাংক এখানকার সংসদ নির্বাচনে বরাবরই প্রভাব ফেলে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাছিব মনিয়া বলেন, ৬ দফা আন্দোলনের দাবি নিয়ে যে মাটি চষে বেড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু, সেখানে নৌকার বিজয় ছাড়া অন্যকিছু চিন্তা করা যাবে না। তাছাড়া সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় এ জনপদ আলোকিত হয়েছে নুরুল ইসলাম নাহিদের কারণে। বিষয়টি সচেতনভাবে চিন্তা করে নৌকা প্রতীকের জয় নিশ্চিতে এই আসনের ভোটাররা এক হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

একইভাবে ধানের শীষের বিজয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সারাদেশের ন্যায় বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের ভোটাররা মুখিয়ে আছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর এখানে ধানের শীষের পক্ষে ভোট বিপ্লব হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার শাখার সভাপতি এডভোকেট আমান উদ্দিন বলেন, আসন্ন নির্বাচন সব-দলের জন্য চ্যালেঞ্জের। এবার কেউ সহজে হারতে চাইবেনা। বিশেষ করে নৌকা এবং ধানের শীষের প্রার্থী যেকোন মূল্যে জিততে চাইবেন। এখান থেকে আরো একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীই নির্বাচনে প্রভাব ফেলবেন।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নৌকা মার্কার প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্নস্থানে গণ-সংযোগকালে বলেন, উন্নয়নের সহযাত্রী হতে শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিবে জনগণ। তিনি এজন্য দলের নেতাকর্মীদের এককাতারে সামিল হওয়ার আহবান জানান।

অপরদিকে ধানের শীষের প্রার্থী ফয়ছল আহমদ চৌধুরী বলেন, গুম-খুন আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশবাসী জেগে ওঠেছে। তাই এ সরকারকে বিদায় জানাতে তারা ধানের শীষে ভোট দিবে।