আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। আটঘাট বেঁধে বিরামহীন প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি দুপুর দুইটার পর থেকেই চলছে মাইকিং।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে নৌকা-ধানের শীষের প্রচার প্রচারণায় মুখরিত বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শহর, পাড়া-মহল্লা। সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীরাও নিজ দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে একজোট হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবনের পরিবর্তে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ। এ আসনে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- শংকর পাল (লাঙল), মনমোহন দেবনাথ (গামছা), পরেশ চন্দ্র দাশ (আম), আবুল জামাল মসউদ হাসান (হাতপাখা) ও আফছার আহমদ রূপক (সিংহ)।
এ আসনে লড়াইটা মূলত আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আব্দুল মজিদ খান এমপি এবং ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সঙ্গে। তবে অন্যান দলের প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মজিদ খানের সঙ্গে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের পক্ষেও উপজেলা বিএনপি থেকে শুরু করে অঙ্গসংগঠনের নেতারা আটঘাট বেঁধে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় নির্বাচন আরো জমজমাট হয়ে উঠেছে।
আশির দশকের পর এ আসনটি উদ্ধার করতে পারেনি বিএনপি। প্রতিবারই নৌকার প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এবার বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তে জোটের শরিক দলের প্রার্থী দিয়ে জোট-ঐক্যফ্রন্ট নতুন কোনো এক্সপেরিমেন্ট করছে কি-না, তা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনী ফলাফল বলে দেবে।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ০৬ হাজার ৯৭২ জন।