সিলেট-১ আসনে মহাজোট মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটে যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতির পরিবেশ বিরাজমান। সম্প্রীতির শহর হিসেবে সারাদেশের মধ্যে সিলেটের খ্যাতি রয়েছে। সম্প্রীতির এই পরিবেশ নষ্ট করবেন না। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন মহল যেনো এই পরিবেশ ধ্বংস করতে না পারে সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে।
তিনি বুধবার সিলেট নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী গণসংযোগ, শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি সিলেটে নিজ নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার গাড়িতে হামলা, বিভিন্ন স্থানে পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সম্প্রীতির এই শহরে এসব ঘটনা দুঃখজনক। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। অন্যথায়, আমাদের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি কলঙ্কিত হবে।
ড. মোমেন আরও বলেন, নির্বাচন এলে কিছু সুযোগসন্ধানী লোক থাকে। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে ফায়দা নিতে চায়। দেশ-বিদেশী এসব ষড়যন্ত্রকারী স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে ফায়দা হাসিল করে।
তিনি বলেন, আমরা ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছি। আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসি। আমরা এদেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে চাই। অন্য কারো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিজেদের দেশকে ধ্বংসের মুখে ঢেলে দিতে পারি না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে শান্তি ও উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে। তার জন্য প্রয়োজন জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে যেসকল দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে সেসব দেশ এগিয়ে গেছে। একটি গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নমুখী সরকারের ধারাবাহিকতা রাখতে আগামী ৩০ তারিখের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
বুধবার সকালে তিনি নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের মদিনা মার্কেট-বাঘবাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করেন, সকাল সাড়ে ১১টায় ৬নং ওয়ার্ডের বাদামবাগিচা এলাকায় গণসংযোগ, দুপুরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গণসংযোগ ও ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, সাড়ে ১২টায় নগরীর জিন্দাবাজারের মিলেনিয়াম মার্কেটে গণসংযোগ ও মতবিনিময়, বিকেল ৩টায় নগরীর কালাগুল, ছড়াগাঙ ও বড়জান চাবাগানে প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে চাশ্রমিকদের প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্ত, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জগদীশ দাস, এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, কামাল আহমদ, কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, এডভোকেট মোস্তফা দেলওয়ার আল আজহার, ফারুক আহমদ, আশীক মিয়া মাসুক, এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আশুতোষ ধর চৌধুরী, মানসিংহ দাস, বিধান কপালী, বিজিত বৈদ্য, নিশিকান্ত দাস, শামসুল আলম, মানিক লাল দে, সাইফুল ইসলাম, নাসির খান, এম মিরাজ জাকির, এসএম নুনু মিয়া, জাবেদ সিরাজ, জেলা যুবলীগ নেতা জাহিদ সরওয়ার সবুজ, আজাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য দেলওয়ার হোসেন, তজম্মুল আলী, ননী গোপাল দত্ত, আব্দুল লতিফ রিপন, আতিকুর রহমান আতিক, শাফায়াৎ খান, মাসুক আহমদ, রানা আহমদ শিপলু, জামাল আহমদ, শহীদ আকিব অপু, নজরুল ইসলাম, মিফতাহুল হোসেন লিমন প্রমুখ।