সাত্তার আজাদ:
১৯৭১ সাল। তখন ছিল ভাদ্রমাস। মুক্তিযুদ্ধ চলছে। গ্রামের সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলেও অন্ধ শাশুড়ি ও প্রতিবন্ধী স্বামীর সাথে বাড়িতে থেকে যান আছমুনা বেগম। তখন তাঁর বয়স ত্রিশের কাছাকাছি। ওইসময় পাশের ঘরের মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীকে খুঁজতে আসে দু’জন পাক সেনা। তারা আশরাফ আলীকে ঘরে না পেয়ে আছমুনার ঘরে হানা দেয়। তার অন্ধ শাশুড়ি ছিলেন বারান্দায়। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘরে ঢুকে আছমুনার স্বামী রকিব আলীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর আছমুনাকে টেনেহিচড়ে পাশের মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খালি ঘরে নিয়ে যায়। পরে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে আছমুনার সম্ভ্রমহানী ঘটায় ওই দুই পাক সেনা।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর এমন কষ্ট বুকে চেপে রেখেছিলেন তিনি। আজ ১৮ ডিসেম্বর সেই বীরাঙ্গনা মুখ খুললেন।
আছমুনার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের মুড়িয়া হাওরপাড়ে বাড়ুদা গ্রামে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন…