একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ও টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য এবং উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী (হাজী মুজিব)।
আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে খ্যাত চা বাগান এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এ আসনে স্বাধীনতার পর থেকে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়ে আসছেন। ফলে বিএনপির হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এদিকে গতকাল সোমবার দৈনিক সমকালে গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ‘সিলেট বিভাগের ১৯ আসনে জয়-পরাজয়ে যত ফ্যাক্টর’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১০টিতে মহাজোটের প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দুটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী হারতে পারেন, দুটি আসনে মহাজোটের প্রার্থী ঝুঁকির মুখে। আর বাকি পাঁচটি আসনের ব্যাপারে জয়-পরাজয়ের কিছু ফ্যাক্টরের কথা উল্লেখ করা হলেও কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করা হয়নি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-
মৌলভীবাজার-৪ আসনের প্রার্থী উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। নির্বাচনে তার ইতিবাচক দিক হিসেবে বলা হয়, এ আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। বিগত সব নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ‘৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার এমপি হয়েছেন উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। এ ছাড়া এ আসনে মোট তিন লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০ ভোটারের মধ্যে ৬০ হাজার সংখ্যালঘু ও চা শ্রমিক। দলীয় কোন্দল নিরসন করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে মৌলভীবাজার-৪ আসনে এবার নৌকার পালে হাওয়া লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। মহাজোট প্রার্থীর বিপক্ষে যেসব ফ্যাক্টর রয়েছে তা হলো- কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমানের ভূমিকা। আবদুস শহীদের বিপক্ষে কাজ করছেন তিনি। এমনকি এ আসনের সঙ্গে নতুনভাবে যে চারটি ইউনিয়ন যুক্ত হয়েছে সেখানে আওয়ামী লীগের অবস্থা ততটা সুসংহত নয়। আর মৌলভীবাজার-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাজী মজিবুর রহমান চৌধুরী প্রচুর টাকার মালিক। তিনি নির্বাচনে টাকা খরচও করছেন।
এ আসনে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- এডভোকেট শান্তি পদ ঘোষ (উদীয়মান সূর্য), মাওলানা সালাউদ্দিন (হাত পাখা)।