একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) আসনে কে হলেন নৌকার কাণ্ডারি, এ নিয়ে গতকাল ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনলাইন ভার্সন ও টিভি স্ক্রলে প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী বর্তমান এমপি সৈয়দা সায়রা মহসীনের নাম দেখে তার সমর্থক ও অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে এই পোস্ট দিয়ে তা ভাইরাল করেন।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদের সমর্থক ও অনুসারীরা তিনি দলীয় মনোনয়ন ও নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এমন খবর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেন। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে দেখা যায় দলীয় প্রার্থী মনোনীত হওয়ার চিঠি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদের ছবি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই আসনে এক দলের দুই প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে খবর প্রচারিত হওয়ায় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় কৌতূহলী লোকজনও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন। দিনভর বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয়দের মধ্যে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যমকর্মী ও দলের জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে মুঠোফোনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী নিয়ে অনেকেই জানতে চান।
কে হলেন এই আসনে নৌকার মাঝি এমন প্রশ্ন ছিল সবার মুখে। তবে দলীয় প্রার্থী নিয়ে এমন ধূম্রজালের বিষয়টি বিকালের দিকে অনেকটাই কমে আসে জেলা নেতৃবৃন্দের দেয়া তথ্যে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো.
ফজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাধা পদ দেব সজল মুঠোফোনে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এই আসনে নৌকার মাঝি নিশ্চিত হয়েছেন। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত ও ধূম্রজাল সৃষ্টি হওয়ার কিছুই নাই। গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা হয়তো ভুলবশত আগের তালিকা ছিল। দলীয়ভাবে মনোনীত হওয়ার চিঠি নেছার আহমদের নামেই ইস্যু হয়েছে। এবং তিনি তা সংগ্রহ করতে ঢাকার পথে আছেন। তারা নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নৌকাকে বিজয়ী করতে সকল ভেদাভেদ ভুলে মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অপরদিকে সৈয়দা সায়রা মহসীনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের কোনো চিঠি এখনো তিনি পাননি। তবে তারা গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত নামের তালিকায় তার নাম দেখতে পেয়েছেন।
