রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সুনামগঞ্জে ২ নেতার দল বদল
ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট



বিজ্ঞাপন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দল বদল করেছেন সুনামগঞ্জের ২ হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ। তাঁরা হলেন- বিএনপি’র সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. রফিক চৌধুরী ও যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী নজরুল ইসলাম। ডা. রফিক চৌধুরী শনিবার বিকালে বিকল্প ধারায় যোগদান করেছেন। তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশ-জামালগঞ্জ-তাহিরপুর) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়তে চান।

অপরজন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নজরুল ইসলাম যোগ দিয়েছেন গণফোরামে। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ- জগন্নাথপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে চান।

ডা. রফিক চৌধুরী বিএনপি’র বিগত কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ধর্মপাশার দশধরী গ্রামের বাসিন্দা ডা. রফিক সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক এবং বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব’এর সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন।

ডা. রফিক চৌধুরী বলেন,‘আমি মাঠে আছি, আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছি। ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। ২০০৮’এ সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে নির্বাচন করে ৯৫ হাজার ভোট পেয়েছি। আমি জানি না কী জন্য আমার প্রতি অবিচার হয়। দায়িত্বশীল কেউ কিছু বলেনও না কী অপরাধ আমার। এজন্য আমি দল ত্যাগ করেছি। শনিবার বিকালে আমি বিকল্পধারায় যোগদান করেছি। এর আগে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি আশা করছি, আমার কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা আমার দলত্যাগের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নেবেন। আমি যদি নির্বাচন করি, তাঁরা আমাকে সহযোগিতা করবেন।’

জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের আমরাতৈল গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৮০-৮১ সালে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসাবে সিলেট এমসি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। যুবলীগের সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম ১৯৮৫ সালে। ১৯৮৬-৮৭ সালে সিলেট জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলাম। ২০০৪ সালে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয় আমাকে। ২০০৫ সালে মনোনয়নের তিন দিন আগে যুক্তরাজ্য থেকে এসে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে প্রায় ২১ হাজার ভোট পেয়েছি আমি। জাতীয় নেতা ড. কামাল হোসেন আমার পছন্দের রাজনীতিক, তাঁর দল গণফোরামের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদে লড়তে চাই আমি। আমি আশা করছি জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জবাসী তাঁদের ভালবাসা থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন না।’

প্রসঙ্গত, পুনঃতফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।